সিরাজগঞ্জে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন: আটক ৩
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অটোমিশুক চালক আমিরুল ইসলামের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।একই সাথে হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
আটককৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আটককৃতরা হলো-সলঙ্গা থানার চকহিনাল গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে সাহেব আলী প্রামানিক (২৫), একই গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান সরকার(৪৪) ও তাড়াশ উপজেলার ওয়াসিন গ্রামের মৃত আব্দুল বাহেরের ছেলে আব্দুল আজিম প্রাং (৩১)।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ নাজমুল হক জানান, সলঙ্গা থানার অলিদহ গ্রামের মৃত আহম্মাদ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (২০) গত ৫ আগষ্ট দুপুরের বাড়ী থেকে মিশুক গাড়ী নিয়ে যাত্রী পরিবহনের উদ্দেশ্যে বের হয়। কিন্তু গভীর রাত হলেও সে বাড়ী ফেরেনি।
এ ঘটনায় আমিরুলের স্বজনরা থানায় জিডি দায়ের করেন। এ অবস্থায় ১৮ নভেম্বর বিকেলে স্থানীয়রা সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চকনিহাল উত্তরাপাড়া গ্রামের একটি ডোবার কচুরিপানার নীচে এক ব্যক্তির মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের কঙ্কাল দেখতে পায়। কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনা জানতে পেরে আমিরুলের মা ঘটনাস্থলে এসে প্যান্টের কাপড় দেখে কঙ্কালটি শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় অপহরন মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পর ডিবি পুলিশ একটি চৌকস টিম গঠন করেন। চৌকস টিমটি তথ্য প্রযুক্তি ও নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করেন। একই সাথে আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে ১টি অটোর হ্যান্ডেল, সামনের চাকার স্বকাপ ২টি, মিটার ০১টি,নষ্ট হেডলাইট ১টি, ৪০০-১২ সাইজের গাজী টায়ার রিংসহ ৩টি চাকা, লোহার তৈরী অটোগাড়ীর বডি ১টি ও একটি ব্যাটারী উদ্ধার করেন।
তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডের শিকার আমিরুল ও আসামীরা পরস্পর পরিচিত। আসামীরা অটো মিশুকটি ছিনিয়ে উদ্দেশ্যেই আমিরুলকে হত্যা করে। প্রথমে তিনজন মিলে আমিরুলকে নেশাজাতীয় দ্রুব্য খাওয়ায়। এরপর তাকে হত্যারপর ডোবার ভিতর ফেলে রেখে চলে যায়।








