দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেক ধাপ অগ্রগতি হতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে শত সেতু। সড়ক ও জনপথের নির্মাণ করা এসব সেতু ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি নবনির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া আগামী ২৬ নভেম্বর কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দুই টিউববিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ পাশের টিউবের পূর্ত কাজের সমাপনী উদযাপনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।’
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ দেশের ২৫টি জেলায় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করা হবে। তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম সড়ক জোনের আওতায় সর্বোচ্চ ৪৫টি, সিলেট জোনে ১৭টি, বরিশাল জোনে ১৪টি, ময়মনসিংহ জোনে ৬টি, ঢাকা জোনে ২টি, কুমিল্লা জোনে ১টি, রাজশাহী, রংপুর এবং গোপালগঞ্জ জোনে ৫টি করে মোট ১০০টি সেতু।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সেতু হলো মানিকগঞ্জের ঘিওর সেতু, শেরপুরের শিমুলতলী ও পোড়াদহ সেতু, খাগড়াছড়ির লোগাং সেতু, সুনামগঞ্জের রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতু, দিনাজপুরের কাহারোল সেতু এবং চট্টগ্রামে কালারপোল ও বরকল সেতু।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেকধাপ অগ্রগতি হবে।
খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগে পরিবর্তনের ছোঁয়া : গত এক দশকে খাগড়াছড়ির সড়ক বিভাগের অধীন অধিকাংশ পাটাতনের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর স্থলে নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী আরসিসি সেতু। এর অংশ হিসেবে খাগাড়ছড়ির বিভিন্ন সড়কে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে আরও ৪২টি স্থায়ী সেতুর। এ সেতুগুলো নির্মাণের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। গতি এসেছে পাহাড়ের অর্থনীতিতে। উদ্বোধন হতে যাওয়া ১০০ সেতুর মধ্যে এ ৪২টি সেতুও রয়েছে।
এসব সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দুর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। সেতুগুলো পাহাড়ি সড়কে দুর্ভোগ কমানোর পাশাপাশি জেলার বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নসহ পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।