সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শ্রমিকদল নেতা নিখোঁজ গলাচিপায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে পরিষ্কার হলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শার্শায় মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত লালমনিরহাটে পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকদের মানববন্ধন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব দুলু আশঙ্কা মুক্ত কোনাবাড়ীতে ফ্লাট বাসা থেকে স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার লালমনিরহাট বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদক উদ্ধার  বেনাপোলে ঈদ জামাতের জন্য ৪ হাজার ফিট কার্পেট হস্তান্তর যাদের পয়সায় আমাদের বেতন,তাদের জন্য কাজ করতে হবে-সেনাপ্রধান নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্তৃক নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে গাজীপুরে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

কাজীর কান্ড! কাবিননামার জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি, অভিযোগ দায়ের

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট: / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) আমিনুর রহমান ও তার ছোটভাইয়ের বিরুদ্ধে কাবিননামা উত্তোলনের জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১০ মে) লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধু আফরোজা বেগম।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬/৯/২০১৯ইং তারিখ লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ গ্রামের জহুদ্দীর ছেলে সুলতান মিয়ার সহিত আড়াই লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে পার্শ্ববর্তী আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আব্দুর রহিমের মেয়ে আফরোজা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ে নিবন্ধন করেন- খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) আমিনুর রহমানের ছোটভাই লুৎফর রহমান। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। যার বর্তমান বয়স ১৪ মাস।

ঘর-সংসার চলাকালীন স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন প্রায় সময় আফরোজাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। তাতে রাজী না হলে চালানো হয় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন। সর্বশেষ, ১৩/৪/২০২২ইং তারিখ পুনরায় আফরোজাকে তার পিত্রালয় থেক পঞ্চাশ হাজার টাকা আনার জন্য বলে। এতে রাজি না হওয়ায় সন্তানকে রেখে তাকে এলোপাতাড়ি ডাংমার করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এ ঘটনায় আফরোজা বেগম লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিয়ের নকল (কাবিননামা) আনতে বলেন। পরে আফরোজার পিতা খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আমিনুর রহমান ও তার ছোটভাই লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা নানাভাবে টালবাহনা করেন। একপর্যায়ে তারা জানান, আপনার জামাই বিয়ের নকল না দেওয়ার জন্য ষাট হাজার টাকা খরচ করেছে। আপনাদের নকল লাগলে ত্রিশ হাজার টাকা দিতে হবে এবং একমাস অপেক্ষা করতে হবে।

পরে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিয়ের নকল (কাবিননামা) প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধু আফরোজা বেগম।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর বলেন, নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর