শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

সলঙ্গায় ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতা বারীক

কলমের বার্তা / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে ধুবিল ইউনিয়ন (নিষিদ্ধ) কৃষকলীগের ভূমি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারিক খোন্দকার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিষিদ্ধ সংগঠন আ.লীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে সে অবৈধভাবে কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করছে, যা এলাকার কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

স্থানীয় কৃষকদের ভাষ্যমতে, এই জমিগুলোতে বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন হতো। অথচ এখন পুকুর খননের ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং সেচব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। আর বেতুয়া গ্রামের সকল পুকুর খনন কারীর মূল হুতা এই কৃষকলীগের নেতা আব্দুল বারীকের কারনে বেতুয়া গ্রামের ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।সাধারণ কৃষকদের টাকার লোভ দেখি অবাধে করছে পুকুর খনন।

শনিবার দুপুরে সরেজমিন বেতুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,নিষিদ্ধ কৃষকলীগ নেতা আব্দুল বারীক তিন ফসলি ১৫ বিঘা জমি থেকে ৭ থেকে ৮ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছেন। ফলে চারপাশের ফসলি জমি চাষাবাদে হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় আছেন ভূমি মালিকরা। আর এই মাটি খনন করা দেখতে ছোট ছোট শিশুরা ভির করছেন, যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।

মাটি ব্যবসায়ী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা আব্দুল বারিক খোন্দকার সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মৃত আয়নাল খোন্দকারের ছেলে।

ধুবিল ইউনিয়ন (নিষিদ্ধ) কৃষকলীগের ভূমি বিষয়ক সম্পাদক ও মাটি ব্যবসায়ী বারীক সরকার বলেন, পুকুর খনন করছি তাতে দোষের কিছু না। প্রশ্নের এক জবাবে বলেন,আমার পুকুর খনন কাজে কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রশাসন আসে না। কারন রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের সকল দপ্তর ম্যানেজ করেই আমি কাজ করছি।

বেতুয়া গ্রামের মৃত হাজী ওসমান গনি ছেলে (জমির মালিক) আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন পুকুর খনন করার কথা শিক্ষার করে বলেন, আমার ৮ বিঘা জমি ও অন্যদের জমি আছে।মাটি কাটার জন্য আব্দুল বারীক কে কন্টাক দিয়েছি। জমি শ্রেণি পরিবর্তন করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা জমি শ্রেণি জন্য কোন আবেদন বা অনুমতি নেওয়া হয় নাই।

ধুবিল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মুনসুর আলী বলেন, মাটি খনন করার বিষটি আমার জানা ছিলো না। এখনই বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই,সংশ্লিষ্ট পরিষদের প্রশাসককে জানিয়ে দিচ্ছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা অবিলম্বে ফসলি জমি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর