বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে ডাকাতি, গ্রেফতার ৪ সুন্দরগঞ্জে জুয়া ও মাদকদ্রব্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের কোন্দল,দলীয় প্রধানের ছবি ভাংচুর যশোরের বেনাপোলের লিটনের ১৭ বছরের সাজা জামিনের কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করায় যশোরে কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা চরহাজারীতে ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ খোকন এর রমজানের ফুড প্যাকেজ বিতরণ যশোর ঝিকরগাছার সাবেক এসিল্যান্ডকে আহত করা মামলায় দুইজনের কারাদণ্ড দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার প্রতিবাদ বেনাপোলে ধর্ষক মানুষরুপী পশুদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন মোটরসাইকেল চোরাচালানীদের ধরতে সড়ক দূর্ঘটনায় এক বিজিবি সদস্য নিহত, আহত এক কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে অভিযান নারীসহ আটক- ৯

আ. লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, প্রমাণিত

রিপোর্টারের নাম : / ১১৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নির্বাচনে কারচুপি দেখেছি, ফলাফল উল্টে দেওয়ার বিষয়টিও দেখেছি। ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরাই লড়াই করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, এট আমরা প্রমাণ করেছি। তাই নির্বাচন নিয়ে কারো কথা বলার সুযোগ নেই।

আজ বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর স্পিকার প্রস্তাবটি ভোটে দেন। এ সময় সর্বসম্মতিতে প্রসস্তাবটি গৃহীত হয়। গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। ওই ভাষণের উপর ৮ জানুয়ারি সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, আগে নির্বাচন কী ছিল? আমরা জিয়ার আমলেও নির্বাচন দেখেছি, হ্যা-না ভোট অথবা রাষ্ট্রপতি ভোট, সবই দেখেছি। ইয়েস, নো। নোর বাক্স পাওয়া যায় না সবই ইয়েস। ৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আমাদের দেখা আছে, কিভাবে কারচুপি হয়। ৮৬ সালের নির্বাচন আমরা অংশগ্রহণ করেছিলাম, ৪৮ ঘণ্টা সেই নির্বাচনের ফলাফল বন্ধ রেখে জেনারেল এরশাদ সাহেব নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করা সেটা আমরা দেখেছি। ৯১ সালের নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়ে বিএনপি সরকারে এসেছিল। এসে ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচন করে দিল। তবে ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না, সেটা তখন প্রমাণ হয়। খালেদা জিয়াকে ৩০ মার্চ অর্থাৎ দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ নির্বাচনে চক্রান্ত ছিল গ্যাস বিক্রি নিয়ে, বিএনপি ক্ষমতায় এসেই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও লুটপাট শুরু করে। দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করল যে জরুরি অবস্থা দেওয়া হলো। সেই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করে আমরা এখন উন্নয়নের গতি ধারা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র কয়দিন আগে ছয়টি উপ নির্বাচন হলো, একটি জাতীয় পার্টি, একটি বিএনপির একজন সংসদ সদস্য সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তারপর তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করে বিজয়ীয় হয়েছেন, আজ সংসদে এসেছেন। একটা দিয়েছিলাম রাশেদ খান মেননকে সেখানে জাতীয় পার্টি জিতেছে, আরেকটা দিয়েছিলাম হাসানুল হক ইনুকে সেটা জিতে এসেছে। তাছাড়া বগুরায় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে নৌকা মার্কা জয়লাভ করেছে।

তিনি আরো বলেন, রংপুর মেয়র নির্বাচন এই নির্বাচন নিয়ে তো কেউ অভিযোগ করতে পারেনি। সে নির্বাচনে কিন্তু জাতীয় পার্টি জয় লাভ করেছে, আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। কাজেই নির্বাচন যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু হয়, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়, সেটাই কিন্তু এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।

আমি আশা করবো এর পরে নির্বাচন নিয়ে আর কেউ কোনো কথা উত্থাপন করার সুযোগ পাবে না। কারণ আমরা ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আমরাই সংগ্রাম করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর