উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে তিন বিঘা করিডোর- দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ তিন বিঘা করিডোর ছিটমহল দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। ১৯ শে অক্টোবর ২০১১ ইং তারিখ ছিটমহলের গেট ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার উদ্ভোধন হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৫ হাজার ছিটমহলবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন ২৪ ঘন্টা চলাচলে কোন বাঁধা নেই।
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ১০ থেকে ২০ শয্যা হাসপাতালটিতে চিকিৎসক থাকলেও প্রয়োজনীয় ওষুধ পত্র সংকট রয়েছে। এখানে রয়েছে ১টি হাই স্কুল, ৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদরাসা, কয়েকটি মসজিদ, ১টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ।
গত বছর বন্যায় ভারত থেকে হঠাৎ করে পানি ধেয়ে আসায় দহগ্রামের পাকা- কাচা রাস্তা মিলে ১৫ কিঃমিঃ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সরকারী বরাদ্দের অভাবে তা এখনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা হয় নিত্যদিনে।
দহগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা এস আই আঙ্গুর জানান, দহগ্রামের জনগন শান্তি প্রিয়, এখানে অপরাধ প্রবনতা খুবেই কম। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দহগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা জানান, মাঝে মধ্যে গভীর রাতে কাটাতার ডিঙিয়ে গরু ও চিনি পাচার করা হয়। সে সময় গুলোতে আমাদের চাষাবাদ করা জমির ফসল ক্ষতি হয়।
উল্লেখ্য যে, ১৯৮৫ সালে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন হিসেবে পরিগনিত হয়। ১৯৮৯ সালে দহগ্রাম ইউনিয়নটির শুভ উদ্বোধন করা হয়। এক সময় সেখানে যাওয়ার জন্য মানুষেরা এক ঘণ্টা পরপর সুযোগ পেত। বর্তমানে সেই সমস্যা আর নেই। তাদের কে আর অপেক্ষা করা লাগে না । তাছাড়া বর্তমানে তিন বিঘা করিডোর এলাকাটি পরিণীত হয়েছে দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব বয়সের মানুষকেই এখানে দেখা যায়। সারা দেশ থেকেই ভ্রমণ পিপাসু মানুষরা ভিড় করে তিন বিঘা করিডোর এলাকায়। সেখানে যাতায়াতের জন্য লালমনিরহাট সদর থেকে বাস সর্ভিস থাকায় সহজেই যে কেউ যেতে পারে তিন বিঘা করিডোরে। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে অবস্হিত এ তিন বিঘা করিডোর দেখতে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ যাতায়াতে কোন সমস্যা নেই।