গাসিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ
গাজীপুর মহানগীর কাশেমপুর এলাকায় জনগণের সেবক হিসেবে ইতিমধ্যেই জনগনের মনে জায়গা করে নিয়েছেন কাউন্সিলর সাইজ উদ্দিন মোল্লা। তিনি মহানগরীর কাশিমপুর ৩ নং ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত বর্তমান কাউন্সিলর। দুই বারের জনপ্রতিনিধি সাইজ উদ্দিন মোল্লা ইতিমধ্যেই পরিবর্তন করে ফেলেছে এলাকার চিত্র। ৩ নং ওয়ার্ড কে অত্যাধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে রূপান্তরিত করতেন দিনরাত পরিশ্রম করছেন সাজ উদ্দিন মোল্লা । এতেই একটি মহল হিংসার নিতে হয় কাউন্সিলর সাইজ উদ্দিন মোল্লা ও তার ছোট ভাই ইদ্রিস মোল্লার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে । এই কুচক্রী মহল প্রতিনিয়তই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে“কাশিমপুরে হতদরিদ্র সমাজ এর গৃহ নির্মানে কাউন্সিলর সাইজ উদ্দিন মোল্লার হামলায় থানায় অভিযোগ” “গাজীপুরে কাউন্সিলর সাইজ উদ্দিন মোল্লার ভূমিদস্যুতায় দিশেহারা এলাকাবাসী” “বিচারের নামে হামলা করার প্রচেষ্টা কাউন্সিলর সাইজ উদ্দিন মোল্লার” “কাউন্সিলর সাইজুউদ্দিন মোল্লা কাশিমপুরের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে” “কাউন্সিলর সাইজুউদ্দিন মোল্লা কাশিমপুরের এক আতঙ্কের নাম” “কাউন্সিলর সাইজুউদ্দিন মোল্লা! এডভোকেট আতিকের খুনি” সহ নানা শিরোনাম কাউন্সিলর সাইজ উদ্দিন মোল্লা তার ভাই ইদ্রিস মোল্লা সহ পরিবারে সকল সদস্যদের নামে গুজব রটা”েছ অখ্যাত অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে। এলাবাসী সূত্রে জানাযায়, ২০১৩ সালের ৭ জুলাই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। এরপর নিজ ওয়ার্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়ন শুরু করেন। উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে ২০১৮ সালে ২৬ জুন জনগন তাকে দ্বিতীয় দফায় কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডে উন্নয়নের ধারা বাড়তে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরীর কাশিমপুর ৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে মসজিদ-মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন ছোয়া। প্রায় বিশ থেকে পঁচিশটি রাস্তায় ইট সলিং, কার্পেটিং ও আরসিসি ঢালাই করেছেন। এছাড়াও কয়েকটি রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। জানা যায়, নিজ অর্থায়নে হাতিমারা হাই স্কুল এন্ড কলেজে একটি শহীদ মিনার নির্মান করেন। বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজ তহবিল থেকে বিপুল অর্থ অনুদানের তথ্যও পাওয়া যায়। নিজ ওয়ার্ডের ৪৬ টি মসজিদে অর্থ সহযোগিতা দিয়ে যা”েছন। বর্তমানে তিনি বাড়েন্ডা লালদিঘী জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদে দ্বায়িত্বরত রয়েছেন। এর আংশিক চিত্র নিম্মে তুলে ধরা হল-দাতা সদস্য- হাতিমারা হাই স্কুল এন্ড কলেজ। সভাপতি- হাতিমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়। সভাপতি- এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সভাপতি- লালদিঘী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক- বাড়েন্ডা মডেল একাডেমী। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক- বাড়েন্ডা নিজাম উদ্দিন কলেজ। দীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত তিনি আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতি কওে যা”েছন এবং ১৯৮৮ সালে সৌদ আরবে থাকা অব¯’ায়ও তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তৎকালীন সৌদি আরবের রিয়াদ আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের সাথে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেন তিনি। নিম্মে তার রাজনৈতিক জীবনের পদ পদবি তুলে ধরা হলো- ১৯৯৪ সালে কাশিমপুর ইউনিয়ন (সাবেক) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর দীর্ঘদিন কাশিমপুর ইউনিয়ন (সাবেক) সে”ছাসেবকলীগের আহবায়ক এর দ্বায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর থানাধীন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন এবং কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তিনি। শিক্ষা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় এই কাউন্সিলরকে বিভিন্ন বেসরকারি সং¯’া, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিকভাবে তাকে একাধিক পদকে ভূষিত করেন। নিম্মে তার একাংশ তুলে
ধরা হলো- ২০১৫ অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল ও শেরে বাংলা স্বর্ণপদক পান। ২০১৭ সালে মহাত্মা গান্ধী শান্তি পদক ও বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পদক পান। ২০২২ সালে ভারত বাংলাদেশ অ্যায়ার্ড পান। এছাড়াও ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ভারতের কলকাতায় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সন্মেলনে ভারতমাতা স্বর্ণপদক পান। অপপ্রচারের বিষয় ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.সাইজ উদ্দিন মোল্লা বলেন,আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজনীতি করি এবং জনগণের রাজনীতি করি। আমাকে জনগনের সেবক হিসেবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং এই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্বে আছি। আমাকে জনগন ভালোবেসে দুইবার নির্বাচিত করছেন। আমি আমার সাধ্যমতো এলাকার উন্নয়ন করে যা”িছ। আমি যদি জনগণের আশানুরূপ এলাকার উন্নয়ন করে থাকি তাহলে আশা রাখি আগামীতেও আমাকে ভোট দিয়ে জনগণ পুনরায় নির্বাচিত করবেন। যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালা”েছন তাদের বলবো, দয়া করে তথ্য প্রমান ছাড়া জনগণ কে বিভ্রান্ত করবেন না। আমি ও আমার ছোট ভাই ইদ্রস মোল্লা যদি কোন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকি তাহলে আইনের হাতে আমাদেও অপরাধের তথ্য প্রমান দিন আমি অপরাধী হলে আইন আমায় যে শাস্তি দেবে আমি মাথা পেতে নিবো । আসুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। এসব মিথ্যা বিত্তহীন তথ্য ছড়িয়ে জনগণ কে বিভ্রান্ত না করে আসুন উন্নয়ন কাজে সবাই শরীক হয়ে ৩নং ওয়ার্ড কে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলি।