চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক রাতে ১১টি দোকানে ডাকাতি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক রাতে ১১ টি দোকানে দূর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৭ আগষ্ট) দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে আড্ডা – সরাইগাছী আঞ্চলিক মহা সড়কের দেওপুরা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,শনিবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের দেওপুরা মোড়ে নাইটগার্ডও পথচারীদের বেঁধে ১১টি দোকানের তালা কেটে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। ঘটনার পরপরই ওই সড়কে টহলে থাকা গোমস্তাপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে। ডাকাতি হওয়া দোকানের মধ্যে মনিরের গার্মেন্টসের দোকান থেকে নগদ সাড়ে ৭হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার মালামাল, মানিকের দোকান থেকে টেলিকমের লক্ষাধিক টাকার মালামাল, জাকারিয়ার কীটনাশকের দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল, সাইফুলের মুদিদোকান থেকে ১৩ বস্তা চাউল , মামুনের চাউলের দোকান থেকে নগদ ৫-৭হাজর টাকা সহ হামিদ,সুজন, সাদিকুল, তোসাদ্দেক , রাজ্জাক, শাহজাহান ও রুবেলের দোকানে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটেছে।
কীটনাশক মালিক জাকারিয়া জানান, তার দোকানে অনেক দামী দামী কীটনাশক মালামাল ছিল। শনিবার রাতে কে বা কারা তার দোকান থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় ।
গার্মেন্টের দোকান মালিক মনির হোসেন জানান,রাতের ডাকাতির ঘটনায় আমার দোকান থেকে ক্যাশবাক্স থেকে সাড়ে ৭হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার পোশাক নিয়ে গেছে।
মানিক টেলিকমের মালিক বলেন,আমার দোকানে কমিটির,প্রিন্টার সহ আরো অনেক মালামাল ছিলো। দোকান থেকে প্রায় এক লাখের উপরে মালামাল নিয়ে গেছে তালা কেটে ডাকতরা। এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ওই এলাকার কয়েকটি মার্কেটের দোকানগুলোতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটেছে। একটি ব্যস্ত সড়কে ডাকাত দলের এ দুঃসাহসিক কর্মকান্ড আমাদের বিস্মি ত করেছে।
এ ব্যাপারে গোমস্তাপুর থানার ওসি আলমাস আলী সরকার জানান, পুলিশ সুপার মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। নিউজ লেখা পর্যন্ত কোন ডাকাত সদস্যের পরিচয় পাওয়া যায়নি।