সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জের মজুমদারহাটে পিকআপ ভর্তি চাল জনতার হাতে আটক লালমনিরহাটে টিনের চালা কেটে দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি! কাজিপুরে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন; পুড়ে ছাই ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল অধ্যক্ষ কতৃক শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ লালমনিরহাটে দাদন ব্যবসায়ীর রাতভর নির্যাতন সকালে দিনমজুরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার! ভালুকায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ

নির্বাচনী কূটনীতিতে শেখ হাসিনার বিজয়

রিপোর্টারের নাম : / ৭৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ অভিনন্দন জানানোর কারণে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ভোটের পরদিন সোমবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ওআইসি, মাধ্যপ্রাচ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপানসহ অন্তত ৩০টি দেশ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অভিনন্দন জানিয়েছে। গতকাল জাপানের রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সুন্দর ভোট আয়োজনের জন্য ধন্যবাদও দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে বাকি দেশগুলোর অভিনন্দন বার্তাও এসে পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে নির্বাচন কূটনীতিতে বাংলাদেশ জিতে গেছে। অথচ ভোটের আগে বাংলাদেশ নির্বাচন

কূটনীতির হটস্পটে পরিণত হয়েছিল। বইছিল ঝড়ের হাওয়া। মানুষের মধ্যেও ভাবনা ছিল, কী হয়? কিন্তু ভোটপরবর্তী সময়ে কূটনীতিতে আপাতত কোনো ঝড়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ভোটের ২৪ ঘণ্টা পর নির্বাচনকে ‘অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না’ বলে উল্লেখ করলেও এগুলো খুব জোরালো কণ্ঠের দাবি ছিল না। বরং তাদের বিবৃতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কীভাবে ভোটপূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে আসা যায় তার একটা ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। বিবৃতিগুলোতে ভাষার ব্যবহার এমনভাবে করা হয়েছে তাতে সমন্বয় বা সমতা তৈরির দিকে জোর দেয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। অবশ্য অনেকটা হালকা চালে করা এসব বিবৃতির পাল্টা ব্যাখা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে পঞ্চম মেয়াদের জয় উপভোগ করতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বক্তব্য যেটা, সেটা গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার দিয়েছেন। এর বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির বিষয়ে কিছু বলবেন না, তবে নিয়ম অনুযায়ী যা যা করার দরকার, তার সবই করা হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ নির্বাচন কূটনীতিতে বাংলাদেশের জয়ী হয়েছে- কথাটি এভাবে ভাবতে চাননি। তার মতে, আমরা যেমন ছিলাম তেমনি আছি। শুধু কাজটি ঠিকমতো করে গেছি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা জাতিসংঘের দেয়া বিবৃতিতে এমন কোনো কড়াভাষা লেখা ছিল না- উল্লেখ করে গতকাল ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ভারত, রাশিয়া- সবাই আমাদের বন্ধু। সবার সঙ্গে একে-অন্যের স্বার্থ রয়েছে। কাজেই তারা আমাদের দূর করে দেবে কীভাবে? তিনি বলেন, ভোটের আগে একটি টানাপড়েন হয়েছিল। এখন কাজের স্বার্থে এসব টানাপড়েন মিটিয়ে সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই কূটনীতিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতি পড়ে মনে হয়েছে দিতে হয়, দিয়েছে। তারমতে, ভোটের পর তারা কী বলতে পারে তা আমরা আগে থেকেই জানতাম। তারা তো ভোট বাতিল করতে বলেনি, বরং এই সরকারের সঙ্গে কাজ করার একটি বার্তাও দিয়ে রেখেছে বিবৃতিতে। তবে বিবৃতি পড়ে খানিকটা অবাক লেগেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা বলেছে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। যেখানে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি সেখানে তারা ভোট সুষ্ঠু হয়নি কথাটি কোথা থেকে জানল? আর ভোটপরবর্তী বিবৃতিতে ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয় আসবে কেন? সব মিলিয়ে গবেষক হিসেবে আমাদের কাছে এগুলোর খুব একটা গুরুত্ব নেই, মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা ভালো বলেছে, নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে, আমাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে, সেটা বলবৎ রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটা ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। পশ্চিমারা বলেছে, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না, না, গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলেছে। সব দেশই আমাদের ভালো বলেছে। বলেছে সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছিল। তারা বলেছে, নির্বাচনের আগে কিছু সংঘাত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কোনো কারিগরি ত্রæটি ছিল কিনা, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তা দেখেছেন। আমি বাংলাদেশের বহু নির্বাচন দেখেছি। আমার মনে হয়, এবারের নির্বাচনটি আদর্শ নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন বিষয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতামূলক আচরণ আশা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে আমরা খুবই সুন্দর একটি বাংলাদেশের প্রত্যাশা করছি। সব দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রত্যাশা করছি। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা নিজস্ব লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। অংশীদারত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছাড়া আমরা এগুলো অর্জন করতে পারব না। প্রসঙ্গত, এই ব্রিফিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য বিএনপি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। তাদের কিছু মুরুব্বি আছে, তারা পরামর্শ দেন। মুরুব্বিদের পরামর্শে চললে বাংলাদেশের আর চলা লাগবে না। এটাই হলো বাস্তবতা। যদি সৎ পরামর্শ হয়, সেটা ভালো কথা। নির্বাচন হতে দেবে না, এসব হুমকি ধমকি গেল কোথায়? শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এবার নির্বাচন হতেই দেবে না। তাদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের কিছু মুরুব্বি আছেন তারাও সেই পরামর্শ দেন। এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যাতে নির্বাচন না হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে তারা চিনেনি। ’৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে এ দেশের মানুষ এটাই প্রমাণ করেছে। কোনো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে এর মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই? যারা সমালোচনা করতে চায় তারা সমালোচনা করতে পারে- সাফ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনলেও বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাশালী দেশগুলো তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে। এর বিপরীতে শেখ হাসিনা বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব পক্ষকে সব ধরনের সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করার জন্য এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে জানায়, নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না এবং আমরা দুঃখিত যেসব দল অংশগ্রহণ করেনি। ব্রিটেন বলেছে, নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরলেও তা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মান পূরণ করেনি। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসি। মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক বার্তায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রস্তুত কমনওয়েলথ। বিশ্বের ৫৬টি সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশও কমনওয়েলথের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ফোন করেছেন এবং নির্বাচনের প্রশংসা করে তার ‘ঐতিহাসিক’ জয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতরা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং তার বাড়িতে গিয়ে তার ‘নিরঙ্কুশ বিজয়ের’ প্রশংসা করেন। ঢাকায় নিযুক্ত বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন একটি বিবৃতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ‘দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের’ প্রশংসা করেছেন- যা শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ শাসনামলে গভীর সম্পর্ককে নির্দেশ করে। অরপদিকে, ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সবার আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনার নতুন মেয়াদে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করে বলেন, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাবে। তিনি এ সময় মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশের অভিন্ন আত্মত্যাগের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই বছরের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নির্বাচনে বাংলাদেশই প্রথম যেখানে বিরোধী দলগুলো কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছে। পাকিস্তানে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রার্থী হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। ভারতেও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার কাছে বিরোধীরা খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। এরকম পরিবেশে বাংলাদেশে বিএনপির বর্জন সত্ত্বেও ২৮টি দল অংশ নিয়েছে এবং ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বীনা সিক্রি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং তার জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করলে কিংবা ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেই নির্বাচন অবৈধ হয় না। এই কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগের বিজয় এবং সরকার গঠনের বৈধতাকে বাতিল বলা যায় না। সাবেক এই ভারতীয় কূটনীতিক আরো বলেন, কম ভোটার উপস্থিতি মানেই বাংলাদেশের শেখ হাসিনার দলের প্রতি জনগণ অসন্তুষ্ট এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কেননা, দেশটির এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটারদের উপস্থিতির সঙ্গে বিএনপি এবং জামায়াত সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টি সম্পৃক্ত রয়েছে। অতীতের নির্বাচনের ইতিহাস বলে, দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে সন্ত্রাস-সহিংসতা, হত্যা, সংঘাত, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধ ঘটে। তাই ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম মানেই নির্বাচন বৈধ হয়নি এমনটা নয়। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বীনা সিক্রি। বর্তমানে তিনি নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা সাউথ এশিয়া উইমেন’স নেটওয়ার্কের (সাওয়ান) প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে রয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর