সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার বেনাপোলে মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাবনায় গ্রেফতার আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন স্থানীয়রা লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি জিহান আটক! জয়পুরহাটে ওসির বদলি আদেশ ঠেকাতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে ২ টি অবৈধ ইটভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিলো প্রশাসন  বশেমুরকৃবি’তে টিএইচই র‍্যাঙ্কিংয়ে ১ম স্থান অর্জন উৎসব ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত রাজশাহীতে ‘গ্রীন প্লাজা’র ষষ্ঠ প্রকল্পের উদ্বোধন কোম্পানীগঞ্জে মাঝিরটেক টি-টেন ক্রিকেট টুর্নামেন্টর ফাইনাল অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভা অনুষ্ঠিত 

পণ্যের জিআই নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রিপোর্টারের নাম : / ৫৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আলোচ্যসূচির বাইরে প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন যে, জিআই পণ্যগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেখানে তিনি সংশ্লিষ্টদের তৎপর হওয়ার জন্য বলেছেন। তিনি বলেন, তিনটি পণ্যের জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলোর কপি প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভারত সরকারের টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই নির্দেশক পণ্য হিসেবে সনদ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, এ ধরনের কনফ্লিক্টেড কিছু যদি থাকে, সে জন্য একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে। এ ধরনের কিছু থাকলে আমরা সেখানে যেন সেগুলো উপস্থাপন করি, সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গ্রাম আদালতে জরিমানার ক্ষমতা ৪ গুণ বাড়ছে : গ্রাম আদালতে বিদ্যমান জরিমানার পরিমাণ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চার গুণ (প্রায় তিন লাখ টাকা) নির্ধারণ করছে সরকার। মন্ত্রিসভা বৈঠকে গ্রাম আদালত সংশোধন আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে

সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন বলেন, গত বছর এই আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু এটি সংসদে উপস্থাপন না হওয়ায় এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ায় নতুন মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মন্ত্রিসভা এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন করে দিয়েছে। তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা (জরিমানা করার ক্ষমতা) ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত হয়। কোনো সময় একজন অনুপস্থিত থাকলে আদালতের সদস্য সংখ্যা চারজন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি হলে অনুপস্থিত যিনি ছিলেন তাকে উপস্থিত হতে সাত দিন সময় দেয়া হবে। এর মধ্যে তিনি উপস্থিত না হলে তখন ভোটাভুটিতে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা রাখা হয়েছে। মামলার এক পক্ষ মারা গেলে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এখন বলা হয়েছে, রায়ের আগে কোনো পক্ষের মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারকে পক্ষ করা যাবে।

২০১৩ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেছিল সরকার। চেয়ারম্যানদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফের জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত। গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবং তৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলির বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর আওয়তায় গঠিত একটি স্থানীয় মীমাংসামূলক তথা সালিসি আদালতই হলো গ্রাম আদালত।

কাউন্সিলরের পদ শূন্য হলে দায়িত্ব পাবেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর : সিটি করপোরেশনের কোনো কাউন্সিলরের পদ শূন্য হলে সেখানে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর দায়িত্ব পাবেন, এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছরের শেষের দিকে এসে অক্টোবর মাসে এই আইনটি উপস্থাপন হয়েছিল এবং তখন এটিকে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সেটি উপস্থাপন করা হলে তখন সংসদে নেয়ার প্রসঙ্গ ছিল; কিন্তু তখন তারা বাকি প্রসেস করে সংসদে নিতে পারেনি। এ জন্য এই সংসদে উপস্থাপন করার জন্য ওনারা আবার মন্ত্রিসভায় উঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিসভা সেটি সামান্য একটু সংশোধন করে অনুমোদন দিয়েছেন।

আরো কয়েকটি বিষয় আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগের আইনে ছিল যে, একটি সিটি করপোরেশন গঠিত হলে বা বিদ্যমান সিটি করপোরেশনের কী এরিয়া হবে সেটি একটি তফসিলভুক্ত ছিল। এবার বলা হচ্ছে- তফসিলভুক্ত না করে সরকার গেজেট দ্বারা নির্ধারণ করতে পারবে। সে বিধানটি এখানে রাখা হয়েছে।

আগে ছিল একজন মেয়র কিংবা কাউন্সিলররা বছরে তিন মাস পর্যন্ত ছুটি ভোগ করতে পারতেন। অনুমতি নিয়ে এখন সেটি করা হয়েছে এক মাস। আরেকটি আসছে সেটি হলো যে, আগে ছিল একটা করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এখন যেটা পরিবর্তন আসছে সেটি ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন যে রকম আছে আইনে তারা প্রথম যে দিন করপোরেশনের সভা হয় সেখান থেকে পাঁচ বছর এটা বলবৎ থাকবে। এরপরে নতুন যে নির্বাচিত মেয়ররা শপথ নেয়ার পরে তারা ১৫ দিনের মধ্যে করপোরেশনের সভা আহ্বান করবেন এবং যে দিন করপোরেশনের সভা সে দিনই আগেরটা বিলুপ্ত হবে এবং এটা কার্যকর হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা সিটি করপোরেশনে এখনকার আইনে প্রায় ১৪টি কমিটি গঠন করার কথা বলা আছে, বিভিন্ন টাইপের কমিটি আছে। এখানে আরো সাতটি কমিটি যোগ করা হয়েছে, যোগ করে সে সুযোগটা রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের সচিবকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর