বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চরহাজারীতে ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ খোকন এর রমজানের ফুড প্যাকেজ বিতরণ যশোর ঝিকরগাছার সাবেক এসিল্যান্ডকে আহত করা মামলায় দুইজনের কারাদণ্ড দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার প্রতিবাদ বেনাপোলে ধর্ষক মানুষরুপী পশুদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন মোটরসাইকেল চোরাচালানীদের ধরতে সড়ক দূর্ঘটনায় এক বিজিবি সদস্য নিহত, আহত এক কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে অভিযান নারীসহ আটক- ৯ দেশব্যাপী নারী নিপীড়নের ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বেনাপোলে মানববন্ধন কাজিপুরে এবার অটোরিক্সা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার  লালমনিরহাটে মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধার স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে! শ্রীপুরে চার বছরের শিশুর গায়ে সৎ বাবার গরম ছুরির ছ্যাঁকা যশোরের ঝিকরগাছায় জমি দখলকারীদের হামলায় মা-ছেলে জখম

বিজিপি-সেনাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায় ঢাকা

রিপোর্টারের নাম : / ৬২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সংঘাত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনাসহ অন্য সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন চায় ঢাকা। মিয়ানমার সমুদ্রপথে তাদের ফিরিয়ে নিতে চায়। তবে আকাশপথ বা সমুদ্রপথে তাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি গতকাল বিকেলে জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি, সেনাসহ অন্যান্য ব্যক্তির সংখ্যা গতকাল ৩৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ঘুমধুম ও তুমব্রু থেকে ১৬৫ জনকে কক্সবাজারের হ্নীলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমার সংঘাতে সৃষ্ট উদ্বেগের কথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতিসংঘকে লিখিতভাবে জানাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশের অবস্থান আরো শক্তিশালী করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সীমান্তে শঙ্কা জিইয়ে রাখতে পারি না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। চিঠি দেবে জাতিসংঘকে। মিয়ানমার সীমান্তের রেশ ভারতেও গেছে।

আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার সীমান্ত ইস্যুটাও আছে।’

ঢাকায় গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাদের ফেরাতে নেপিডোর সঙ্গে যোগাযোগের অগ্রগতি জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে এরই মধ্যে আগ্রহ ব্যক্ত করছে।

সেহেলী সাবরীন বলেন,  এখন যত শিগগির সম্ভব নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বুধবার বিকেলে ওই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, অতিদ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের পটভূমিতে বাংলাদেশ কী ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে—এমন প্রশ্নও উঠেছিল ব্রিফিংয়ে। জবাবে মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেন হুমকির সম্মুখীন না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সতর্ক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউ ইয়র্কস্থ স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। মিয়ানমার সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কেন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ঢুকতে দিচ্ছে এবং ফেরত পাঠানোর রুট নিয়ে আলোচনায় সময়ক্ষেপণ হচ্ছে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক হবে না। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদ দ্রুত প্রত্যাবাসনই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না বা কোনো পূর্বশর্ত নয়।’

মুখপাত্র বলেন, বিমানযোগে প্রত্যাবাসন দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব বিবেচনায় বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমার কিছুদিন আগে ভারত থেকে বিমানযোগে সেনা নিয়ে এসেছিল। তাই এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।

সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তির প্রত্যাবাসন চায়। এখানে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আকাশপথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক, তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি একান্ত জরুরি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর