রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

বেতাগীতে নারী দিবসে  ১২৫ জন নারীকে সম্মাননা প্রধান

খাইরুল ইসলাম মুন্না (বেতাগী) বরগুনা. / ৮২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪

বরিশাল বিভাগে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে ২০১৭ সাল থেকে ‘ভাসা’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিআইপিআরবি। আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত রয়েছে রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন (RNLI), যুক্তরাজ্য, আইল অফ ম্যান গভর্মেন্ট ও প্রিন্সেস শার্লিন অফ মোনাকো ফাউন্ডেশন। এ প্রকল্পের অন্যতম কার্যক্রম ‘আঁচল- শিশুযত্ন কেন্দ্র’ যা ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের নিরাপদ রাখতে ও তাদের প্রারম্ভিক বিকাশ নিশ্চিত করতে পরিচালিত হচ্ছে। নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে এই কার্যক্রম পরিচালনায় মূখ্য ভুমিকা পালন করে আসছেন শিশুদের অতি প্রিয় ‘আঁচল মা’। নিজের সন্তানের মত করেই পরম মমতা ও যত্নের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতার সাথে আচঁল শিশুদের দেখাশোনা করছেন ‘আঁচল মা’ নামের শিশু যত্নকারীগণ । তাদের অনন্য অবদানকে শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি জানাতে সম্মাননাপত্র প্রদান করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে সিআইপিআরবি।

৬ মার্চ, ২০২৪ এ বেতাগী উপজেলা প্রকল্প কার্যালয়ে ‘আঁচল মায়েদের সম্মাননাপত্র প্রদান’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ফারুক আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আঁচল মায়েদের সম্মাননাপত্র প্রদান করেন। এ ছাড়াও সিআইপিআরবি এর এরিয়া কো-অর্ডিনেটর জনাব রজত সেন সহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ আমি আঁচল এর সাইনবোর্ড দেখলেই সেখানে গিয়ে আঁচল এর খোঁজখবর নেবার চেষ্টা করি। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ করে তাদের মেধার বিকাশে প্রশিক্ষিত আঁচল মা রা যে ভুমিকা রাখছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় ”। আঁচল কার্যক্রম কে একটি সেবামূলক কাজ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আঁচল মা দের কে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে এই কাজটি করতে বলেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ এর প্রতিপাদ্য ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’- ইতোমধ্যেই ভাসা প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত ৫০০ আঁচল কেন্দ্রে কমিউনিটি পর্যায়ের প্রায় ১০০০ নারী কর্মরত আছেন যাদের অধিকাংশেরই রয়েছে সংগ্রামী জীবনের গল্প। আঁচল পরিচালনা থেকে প্রাপ্ত সম্মানীর অর্থ তাদের অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের ভীত মজবুত করতে সহায়ক হয়েছে। গ্রামে সকলের কাছে তারা আজ প্রিয় মুখ, নির্ভরতার প্রতীক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর