বেতাগীতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম
বরগুনার বেতাগী উপজেলার ইতোমধ্যেই শীত নামতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে আগমনী সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা পরি- লক্ষিত হয়। গত প্রায় এক মাস যাবৎ এ অঞ্চলে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন তাই মূলত আসন্ন শীতকে স্বাগত জানিয়েছে। শীত এলেই একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা সকাল-বিকেল, এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত এ ব্যবসায় ব্যস্ত সময় কাটান। এই পিঠার স্বাদে ক্রেতারা মুগ্ধ। শীতের সময় এখানকার নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ভাপা পিঠার ব্যবসা। একদিকে ভাপা পিঠার স্বাদ আর অন্যদিকে চুলার আগুন আর জলীয় বাষ্পের উত্তাপ যেন চাঙ্গা করে দেয় দেহমন। অনেকেই পিঠার দোকানে চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাচ্ছেন। পরিবারের চাহিদা মেটাতে কেউ কেউ আবার পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। শীতকালে অন্যান্য খাবারের সাথে সাথে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় চারিদিকে। আর এই ধুম টা শুরু হয় গরম ভাপা পিঠা দিয়েই। শীতের এ আমজে বেতাগী উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে ভিড়। জমতে শুরু করেছে। শিশু-কিশোর বয়োবৃদ্ধ সব বয়সীদেরকেই পিঠার দোকানে ভীড় করতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও এই পিঠার আয়োজন লক্ষ করা যায়। শ্রমজীবী, রিকশাচালক, ড্রাইভার, শ্রমিকসহ অভিজাত পরিবারের লোকজনের কাছে প্রিয় শীতের এই পিঠা। মাটির চুলায় খড়ি অথবা জ্বালানি গ্যাস পুড়িয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা তৈরি ও বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
পিঠা বিক্রেতা সালেহা বেগম বলেন, একটু শীত বেশি পড়ায় পিছের চাহিদাও বেড়েছে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী ভালো চেষ্টা করছি ক্রেতার উপস্থিতি অনেক বেশি আমরা আমাদের পরিবার নিয়েই থেকে কে ভালো আছি।
ভাপা পিঠার দোকানে সকাল- সন্ধ্যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে। উপজলার বিভিন্ন হাটে, বাজারে অলি-গলি, রাস্তার মোড়ে সবখানেই চলছে ভাপা পিঠা তৈরির উৎসব। একটু সন্ধ্যা নামলেই মানুষজন ভিড় করছে ভাপা পিঠা তৈরির দোকানের সামনে। অনেকেই পিঠার দোকানে চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাচ্ছেন।