মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনাবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-২ ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে মুছে যাওয়া গতিরোধক চিহ্নিতকরণ হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কার্যালয়ে দুর্নীতি দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত

বেতাগীতে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ ও রস

খাইরুল ইসলাম মুন্না (বেতাগী বরগুনা) / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

বরগুনার বেতাগীর আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহি খেজুর গাছ ও সু খেজুরের রস- গুড়। রস আহরণে গাছিরা কোমরে দড়ির সঙ্গে বৃদ্ধি বেঁধে ধারালো দা দিয়ে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচাছোলা এ নলি বসানোর কাজ এখন আর দেখা যায় না। চোখে পড়ে না গ্রাম বাংলার সেই দৃশ্য, তেমনি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। খেজুরের রসও। অথচ খেজুর গাছ হারিয়ে গেলে এক সময় হারিয়ে যাবে খেজুর রস ও খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য।

দেখা মেলে না শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রসের ক্ষির পাে ও পিঠে খাওয়ার ধূম। এখন আর আগের মত খেজুরের রসও নেই, নেই সে পিঠে রেস বেতাগী, পাথরঘাটা ও রামনায় সহ পটুয়াখালীর কলাপাড়া, মহিপুর, কুয়াকাটার সুস্বাদু এই খেজুরের রস আগুনে ফুল দিয়ে বানানো হতো বিভিন্ন রকমের গুড়ের পাটালি ও নালি গুড়। খেতেও যেমন সুস্বাদু, চাহিদাও ছিল না। বেতাগীর হেসনাবাদ ইউনিয়নের উওর হোসনাবাদ গ্রামের কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, আগে আমাদের দারু কদর ছিল, মৌসুম শুরুর আগ হতেই কথাবার্তা পাকা হতো কার কটি মেজুর গাছ কাটতে হবে। বিশ্ব আগের মতো তেমন খেজুর গাছও নেই আর গ্রামের লোকেরাও এখন আর কেউ ভাবেনা। গ্রামে অল্প কিছু গাছ আছে সেগুলো কেটে নিজেদের চাহিদা মিটাই। খেজুর গাছ হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ইটভাটার জ্বালানি হিসাবে ব্যবহারের জন্য বেপরোয়া খেজুর গাছ নিধন। এতে দিনে দিনে বেতাগী উপজেলা আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে খেজুরের গাছ।

এ বিষয়ে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আৰু সৈয়দ মোঃ জোবায়দুল আলম বলেন, আতত্র ইট ভাটা গড়ে ওঠার, ভূপৃষ্ঠের রূপ পরিব এ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এছাড় ব্যাক্তির ইট ভাটাসহ বিভিন্ন কাজে অধিক মুনাফার লোভে খেজুর গাছ জ্বালা হিসেবে ব্যবহার করছে। যে কারণে বেতাগী সহ বরগুনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে। আর এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের বেশি বেশি খেজুর গাছ রোপন করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর