শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে দাদন ব্যবসায়ীর রাতভর নির্যাতন সকালে দিনমজুরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার! ভালুকায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ রায়গঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙ্গে দিলো সন্ত্রাসীরা ঈদ বাজার বেনাপোলে দর্জি কারিগরদের ব্যস্ততা, ছিট কাপড়ের দোকানে ভীড় ভাঙ্গুড়ায় ট্রাকের নিচে পিষ্ট পূত্র বাবা আহত সিরাজগঞ্জে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি আটক ভালুকায় শ্রমিক দলের নেতা কর্তৃক শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সীতাকুণ্ডের ঘোড়ামরা যুব সমাজের উদ্দ্যোগে ১৫০ পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয় সুন্দরগঞ্জে গণ ইফতার মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে জয়পুরহাটে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

রাতের আধারে ছিন্নমূল মানুষের দুয়ারে কম্বল নিয়ে হাজির ডিসি

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট থেকেঃ / ৮১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

সীমান্তবর্তী উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে হিমেল হাওয়া ও জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। সপ্তাহজুড়ে এ ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল হতদরিদ্র মানুষজন। রাত ১১টার দিকে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল শীতার্তদের কাছে কম্বল নিয়ে হাজির হয়েছেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।

এ সময় তিনি অসহায় গরীব মানুষের শরীরে নিজ হাতে জড়িয়ে দেন কম্বল। জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে অনেক ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষ তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন।

কম্বল পেয়ে ষাটোর্ধ্ব অন্ধ বৃদ্ধা ভিক্ষুক আলিজন নেছা বলেন, শীতের ঠ্যালায় খুব কষ্টে আছিনু। তাও একটা কম্বলও কায়ো (কেউ) দেয় নাই। শ্যাষ আইতে (রাতে) আইজ (আজ) ডিসি স্যারের হাতোত থ্যাকি (হাত থেকে) একনা কম্বল পাইছি। এইটাতেই হামার শীত চলি যাইবে। আল্লাহ ডিসি স্যারের ভালো করুক, এভাবেই কথা গুলো বলেন তিনি।

লালমনিরহাট স্টেশনের প্লাটফর্মের মুসাফিরখানায় প্রায় ঊনিশ মাস ধরে আশ্রয় নেওয়া আরেক ভিক্ষুক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, মুঁই মৃগি ব্যারামি মানুষ, দিনের বেলা গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করি খাই আর কুনো মতে (কোনোরকমে) জড়োসড়ো হয়া এ্যাটে (এখানে) প্রতি রাইত কাটাই। কয়দিন ধরি ঠান্ডাতে কাবু হয়া গেছি। একটা কম্বল পাইছি, এ্যালা (এখন) আর শীতের রাইতে ঘুমাইতে কষ্ট হইবে না।

যাত্রীদের বসার স্থানে শুয়ে থাকা আরেক বয়োবৃদ্ধ ছিন্নমূল ফুলমতি কম্বল পেয়ে বলেন, বাবা হামার বাড়ি ওত্তি (ওদিকে) দূরান্তরোত (দূরান্তরে), কুড়িগ্রামের চিলমারীত। নদী ভাঙ্গি নিঃস্ব হয়্যা (হয়ে) এ্যাটে আসি থাকি। সারাদিন ভিক্ষা করি যা পাই তাকে (তাই) খাই। ঠান্ডাতে হাত-ঠ্যাঙ্গের কাঁপোন (কাঁপুনি) থামে না। কম্বল পায়া খুব উপকার হইল বাহে। আল্লাহ ওমার (ডিসির) ভালো করুক।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, পুরো জেলা জুড়ে চলছে হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডার প্রকোপ। এই ঘন কুয়াশার তীব্র শীতে গরমের উষ্ণতা দিতে রাতের বেলা ঘুরে ঘুরে খেটে খাওয়া দিন মজুর ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জেলায় প্রায় ৩০ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও চাহিদা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব শীতার্ত অসহায় মানুষ যাতে শীতে কষ্ট না করে সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিন দুই শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় অন্যদের মধ্যে লালমনিরহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপনসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর