লালমনিরহাটে আ’লীগ নেতার গ্রেফতার দাবিতে ঝাড়ু মিছিল-ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু’র গ্রেফতার দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করায় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার(২৬ জানুয়ারি) সন্ধায় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলা পরিষদ গেটে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭ নভেম্বর হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরুর সাথে প্রকল্প ভাগাভাগি নিয়ে বিতর্ক হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ তাদের কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ তুলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথম দিকে থানা পুলিশ কোন পক্ষের অভিযোগ আমলে না নিলেও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। এ মামলায় দুই ভাইস চেয়ারম্যানসহ বাকী অভিযুক্তরা জামিনে থাকলেও প্রধান অভিযুক্ত লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জামিন নেন নি। জামিন না নিলেও ক্ষমতার প্রভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন সরকারী অনুষ্ঠানে পুলিশের সাথে অংশ নিলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা পরিষদ গেটে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে একটি ঝাড়ু মিছিল বের করে।
অপর দিকে আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকরাও পাল্টা মিছিল বের করলে দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপজেলা শহরে। খবর পেয়ে অনেক চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে পুলিশ। তবে রাত অবধি পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সত্য কিনা সেটা পুলিশ যাচাই করতেছে। যাচাই করে যদি সম্পৃক্ততা পেয়ে চার্জশিট দেয় তাহলে আমি জামিন নিবো।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, বাচ্চু, মিরু, জেসমিন ও তার স্বামী রাজন ও তার লোকজন অতর্কিত ভাবে আমার উপর হামলা করে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় অনেকে জামিনে থাকলেও মামলার প্রধান আসামী লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।