লালমনিরহাটে কলাগাছের ভেলায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাঠানোর ঘটনায় মামলা!
![](https://kolomerbatra.com/wp-content/uploads/2023/07/received_9522194527850457-700x390.jpeg)
লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে কলাগাছের ভেলায় করে বাংলাদেশি যুবক রফিকুল ইসলাম ট্রে’র (২২) মরদেহ পাঠানোর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে আদিতমারী থানায় অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা কবিতা বেগম।
এর আগে শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কুমারটারী সীমান্তের ৯২৭ নম্বর মেইন পিলারের তিন নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে গুলিবিদ্ধ মরদেহটি পাঠায় ভারত। নিহত যুবক রফিকুল ইসলাম ট্রে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর চওড়াটারী গ্রামের হায়দার পাগলার ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, মৃত রফিকুল ইসলাম ট্রে চোরাচালানীর সাথে জড়িত থাকায় ভারতীয়দের সহায়তায় মাঝে মধ্যে ভারতীয় সীমান্তে যাতায়ত করত। তার বন্ধু আদিতমারী উপজেলার দীঘলটারী গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৪) ও সদর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের রসিদ মোল্লার ছেলে সোহেল রানা সহ শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। যার ৩০ মিনিট পরে দীঘলটারী কুমারটারী সীমান্তের ৯২৭ এর ৩ নং সাব পিলার এলাকা দিয়ে কলাগাছের ভেলায় রফিকুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় আদিতমারী থানা পুলিশ। সীমান্তের ওপারে ডেকে নিয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত রফিকুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ কলাগাছের ভেলায় দলাইনামা ছড়া পার করে বাংলাদেশে পাঠানো হয় বলে বাদির অভিযোগ।
এ ঘটনায় নিহতের মা কবিতা বেগম বাদি হয়ে আদিতমারী থানায় অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নিহতের দুই বন্ধুকেও স্বাক্ষী করা হয়েছে। স্বাক্ষীদের বরাত দিয়ে এজাহারে বাদি দাবি করেন, স্বাক্ষীদের (নিহতের দুই বন্ধু) সামনে ভারতীয় ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তি রফিকুলকে গুলি করে হত্যা করেছে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।