মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনাবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-২ ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে মুছে যাওয়া গতিরোধক চিহ্নিতকরণ হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কার্যালয়ে দুর্নীতি দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত

আমতলীর ইউনুস আলী খান কলেজে পারিবারিক কমিটি

ইমরান হোসাইন, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি: / ২৩০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২

বরগুনার আমতলীর একটি কলেজের গভর্নিং বডি গঠনে ব্যাপক পারিবারিক কমিটি গঠনের পাওয়া গেছে। গভর্নিং বডির ১৬ সদস্যর মধ্যে ৩জন একই পরিবারে বাকী ৫ জন তাদের আত্মীয় স্বজন।

জানা গেছে, উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নের ইউনুস আলী খান ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডিতে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. ইউনুস আলী খান প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,তার ছেলে ডা: মনিরুজ্জামান খান দাতা সদস্য ,ডা: মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ডা: শরীফ শায়লা ইসলাম চিকিৎসক সদস্য , ইউনুস আলী খানের শ্যালক মো. আলম সদস্য, ইউনুস আলী খানের মামা মো. কাঞ্চন আলী সদস্য, ইউনুস আলী খানের ভায়রা মো. মহসিন ফকির সদস্য ইউনুস আলী খানের স্ত্রীর চাচাত ভাই মো.নুরুল হক আকন সদস্য, ইউনুস আলী খানের বাড়ীর নিকট হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান সদস্য। কেেলজ পরিচালনার জন্য গভর্নিং বডির সভাপতি সহ ১৬ সদস্যর মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যর পরিবারের ৩জনসহ অন্য ৫ জন তার পরিবারের সদস্যহওয়ায় এলাকার সাধারন মানুষ শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, কলেজটিকে ইউনুস আলী খান একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন। তিনি এই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন, অবসরে যাওয়ার পর তিনি গভনির্ং বডির সভাপতি ছিলেন , এখন তিনি আবার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য । কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউনুস আলী খান তার ইচ্ছামত কলেজটি পরিচালনা করছেন।মো. ইউনুস আলী খান২০১৯ সালে অবসরে যাওয়ার পর প্রথমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ করেন কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মো. সোহরাব মুন্সীকে তারপর নিয়োগ প্রাপ্ত হন সিনিয়র শিক্ষক মো. দলিল উদ্দিনকে বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মো. দলিল উদ্দিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন । মো. দলিল উদ্দিন ইউনুস আলী খানের কলেজ সংক্রান্ত কাগজ পত্র চাওয়ায় তাকে কৌশলে সরিয়ে ৩০ ডিসেম্বর আমতলীতে জামাত পন্থী শিক্ষক বলে মো. জাকারিয়াকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দাযিত্ব দিয়েছেন।
ইউনুস আলী খান অবসরে যাওয়ার পর তিনি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হন।তখন থেকে কলেজের ৪ তলা ভবনের একটি কক্ষ দখল করে সেখানে সভাপতির কার্যালয় লিখে কলেজের দাপ্তরিক কাজ ও এলাকার সালিস ব্যবস্থা করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের হাতে কলেজের কাগজ পত্র না দিয়ে ঐ রুমে আটকিয়ে রাখেন। এখন তিনি প্রতিষ্ঠার কার্যালয় লিখে একটি রুম ব্যবহার করেন। বর্তমানে তিনি জামাত পন্থী বলে পরিচিত মো. জাকা রিয়াকে কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্ত জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের সার্কুলার মতে এসএসসি থেকে মার্ষ্টাস পর্যন্ত তৃতীয় বিভাগ থাকলে কলেজের অধ্যাক্ষ হওয়া যাবেনা। মো.জাকারিয়ার ডিগ্রী পাস পরীক্ষায় তৃতীয় বিভিাগ রয়েছে। এলাকাবাসী , অভিভাবক কলেজ শিক্ষকরা ও ছাত্র ছাত্রীরা অবিলম্বে ইউনুস আলী খানের সকল অনিয়ম দুনীতির বিচার দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউনুস আলী খান মুঠোফোনে বলেন. আমি কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছি আর কিছু বলবেন না বলে জানান। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি সম্প্রতি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর