সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে মুছে যাওয়া গতিরোধক চিহ্নিতকরণ হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কার্যালয়ে দুর্নীতি দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জের মজুমদারহাটে পিকআপ ভর্তি চাল জনতার হাতে আটক

আমনের সবুজ ধানে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

খাইরুল ইসলাম মুন্না (বেতাগী) বরগুনা. / ১২৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

বরগুনার বেতাগীতে আমন মৌসুমে ফসলি জমির মাঠগুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে উফশী ও স্থানীয় জাতের রোপা আমন ধান। ধানের সবুজ রঙে ভরে উঠেছে উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ।

উপকূল জুড়ে চলতি বছরে ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ে আঘাত ও কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির সংকটের মাঝেও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও হাল ছাড়েননি কৃষকরা। গত মৌসুমে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যেও এবার কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১০ হাজার ৬৯২  হেক্টর। তবে আশার কথা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের বিবিচিনি, বেতাগী, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের  বিভিন্ন এলাকায় বেশি জমিতে  উফশী ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর ও স্থানীয় ৬ হাজার ৫৬০ মোট ১০ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকা সত্বেও যতটুকু সঠিক সময়ে চারা লাগানো থেকে শুরু করে বীজ ও সার সংকট না থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাত হলে ধানের রোগ-বালাই অনেকটাই কমে যাবে এমনটা ধারণা করা হচ্ছে।

আগামী এক মাসের মধ্যে আবার কোথাও এরও কম সময়ে চলতি মৌসুমে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এদিকে কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে গিয়েই দেখা যায় মৃদু হাওয়ায় সবুজ ধানের দোল।

উপজেলার মোকামিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, চলতি বছরে সারে ৩ একর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করেছি। ফসল তোলার আগে কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারব। সদর ইউনিয়নের কৃষক মোশারেফ হোসেন বলেন, প্রচন্ড রোদ-বৃষ্টিতে চাষাবাদে কস্ট হলেও খেতের দিকে তাকালে মনটা জুড়িয়ে যায়। শুধূ এরাই নয়, বেতাগী পৌরসভার  মো: কামরুল হাসান ও মো: ফরিদ হোসেন জানান, দুর্যোগে সংকটের পরেও হাল ছাড়েননি। উপকরণের  মুল্যবৃদ্ধি ও নানা ঝুঁকি মাঝেও কৃষি বিভাগের নির্দেশনা মেনে কাজ করেছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  মো: ইসা জানান, চলতি আমন  মৌসুমে শুরু থেকেই কৃষকদের চাষাবাদে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষি দেশের উন্নয়নের বড় মাধ্যম্। সরকার দেশের কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নত মানের বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে কৃষক খুব কম কস্টে অধিক পরিমান ফসল উৎপাদন করতে পারছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছরে  এ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর