শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ অফিস সার্বক্ষণিক খোলা রাখার নির্দেশ

রিপোর্টারের নাম : / ১৪৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ খাতের সব অফিস চালু রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য উপকূলীয় এলাকার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অধীনস্থ সব সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

সোমবার দুটি পৃথক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি মোকাবিলা ও তদারকির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন থাকা সব সংস্থার আলাদা নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করে বিদ্যুৎ বিভাগকে জানাতে হবে।

অন্যদিকে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জ্বালানি বিভাগের অধীন থাকা সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৮) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মোংলা ও পায়রাবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর