মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনাবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-২ ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে মুছে যাওয়া গতিরোধক চিহ্নিতকরণ হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কার্যালয়ে দুর্নীতি দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত

ঋণ সহায়তা চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আইএমএফের ডিএমডি

রিপোর্টারের নাম : / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

পাঁচ দিনের সফরে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত এম সায়েহ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় এসেছেন। তিনি ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় থাকবেন। এ সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করা হবে।

আইএমএফ ঢাকা সফর সম্পর্কে বলছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি সহনশীল রাখতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে আইএমএফ। এ জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ঢাকা সফর করছেন মনসিও সায়েহ।

সূত্র জানায়, রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর আগামী ১৬ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ১৮ জানুয়ারি পদ্মা সেতু ভ্রমণ করবেন এবং ওই দিনই তিনি ঢাকা ছাড়বেন।

আইএমএফ বলেছে, বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেয়ার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে সায়েহ আইএমএফের সদর দপ্তরে প্রতিবেদন দেবেন। ওই প্রতিবেদনটি আইএমএফের পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেয়ার প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত করা হবে।

আইএমএফ মতে, বাণিজ্য ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খরচ, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকুচিত হওয়ার কারণে সংকটের সীমানায় রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এসব কারণে ব্যয়ের দিক থেকে ভোক্তাদের পরিবর্তন এসেছে অর্থাৎ কম খরচ করতে পারছেন ভোক্তারা। অর্থনৈতিক অগ্রগতিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ পাচ্ছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। আইএমএফ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় তহবিল বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ধিত মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণটি ঢাকার জন্য বহুলাংশে একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও।

আইএমএফের মতে, ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ স্বল্প মেয়াদে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিকে নিম্নমুখী করবে। একই সঙ্গে তাদের পরামর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেবে। যেমন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, মধ্য মেয়াদি স্থিতিশীলতা নির্ভর করে মূল্যস্ফীতি কমানো এবং পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি।

এর আগে বাংলাদেশ গত জুলাইয়ে ঋণ চাইলে সাড়ে তিন বছর ধরে সাত কিস্তিতে ৪৫০ কোটি ডলার অর্থ দেবে বলে আগেই জানিয়েছে আইএমএফ। আগামী মাসেই প্রথম কিস্তি পাওয়ার কথা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর