সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার ঘটনায় মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, হামলায় পুলিশসহ আহত ৫ জন রংপুরের তারাগঞ্জে সাংবাদিক নাজিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলা! লালমনিরহাটের আলোচিত হাসিনার কাটা মাথা উদ্ধার গ্রেপ্তার-১ ‎পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে এসে শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষনের স্বীকার জামিয়া উসমান গণী (রা.) মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় কৃতিত্ব যশোরের চৌগাছায় ছেলের হাতে পিতা খুন ফুলবাড়ীতে অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন কাজিপুরে বালু নিংড়ানো পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু 

এবার স্মার্ট বাংলাদেশ

রিপোর্টারের নাম : / ১৩৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। এই বাস্তবতা সামনে সরকারের নতুন লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার। ‘ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত এবং উদ্ভাবনী’। অর্থাৎ সব কাজই হবে স্মার্ট। যেমন স্মার্ট শহর ও স্মার্ট গ্রাম বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট ইউটিলিটিজ, নগর প্রশাসন, জননিরাপত্তা, কৃষি, ইন্টারনেট সংযোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।

অনলাইনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিমের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় সব ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ গঠন করেছে সরকার। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালের লক্ষ্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’।

গতবছর ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন হয়েছে। এবার উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ ৯টি দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের নেতৃত্বে এই ভিশনের আওতায় ১৯৭ টি উদ্যোগ চিহ্নিত করে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ৪টি (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট) স্তম্ভের আলোকে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে অটোমেটেড করার জন্য আগামী দিনের ‘স্মার্ট আইসিটি ডিভিশন’ নির্মাণের লক্ষ্যে ১৭৬টি সফটওয়্যার চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সম্পন্ন করা হয়েছে।

তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় দুই লাখ বিদ্যালয়, ভূমি অফিস, হেলথ কমপ্লেক্সকে ফাইবার অপটিকের আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আগামীর তরুণ প্রজন্মের মেধা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। ইনকিউবেটরে বিটিসিএলের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। ইনকিউবেশন ভবনে একটি স্ট্যার্টআপ জোন, ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেইনস্টর্মিং জোন, একটি এক্সিবিশন সেন্টার, একটি ই-লাইব্রেরি জোন, একটি ডাটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব, ভিডিও কনফারেন্সিং রুম এবং একটি কনফারেন্স রুম রয়েছে। রফতানি ক্ষেত্রে এটাই হবে সব থেকে বড় পণ্য, যা আমরা রফতানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। ৪ দশমিক ৭ একর জায়গার ওপর নির্মিত এই স্থাপনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রচারাভিযান থেকে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের নতুন ধাপ। এছাড়া বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় অল্টারনেটিভ স্কুল ফর স্ট্যার্টআপ এডুকেটরস অব টুমোরো (অ্যাসেট) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় বাংলাদেশ নলেজ ডেভেলপমেন্ট পার্ক তৈরি করা হবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় সেন্টার ফর লার্নিং ইনোভেশন অ্যান্ড ক্রিয়েশন অব নলেজ (ক্লিক) স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় এজেন্সি ফর নলেজ অন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠা করা হবে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় সেলফ-এমপ্লয়মেন্ট ও এন্ট্রারপ্রেনিওরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিড) প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় কন্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ও লিংকেজ ল্যাব (সেল) স্থাপন করা হবে এবং সার্ভিস এগ্রিগেটর ট্রেনিং (স্যাট) মডেলে সরকারি সেবা ও অবকাঠামো-নির্ভর উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া সব ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

কেমন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ সে বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২০৩১ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত আয় নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সাল-নাগাদ জ্ঞানভিত্তিক, উচ্চ অর্থনীতির উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলারে। গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আসবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ধারণা পেয়েছি আগামী ১০০ বছরের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা এবং মাইনিং টেকনোলজি ভবিষ্যৎ বিশ্বের অর্থনীতিকে পাল্টে দিতে পারে। মহাকাশ গবেষণা ও মহাকাশনির্ভর সৌরশক্তি উৎপাদন, স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখবে। বাংলাদেশের নিজস্ব প্রযুক্তি ও সক্ষমতা দিয়ে ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা এখন থেকেই গ্রহণ করতে হবে। তাই এ যাত্রায় আমরা যেন পিছিয়ে না থাকি সেজন্য এজেন্সি ফর নলেজ অন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন আকাশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,‘আমরা যেন অনুমান করতে পারি যে ভবিষ্যতে কোনো কোনো নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেবে এবং ধাপে ধাপে ২০২৫, ২০৩১ কিংবা ২০৪১ সালের জন্য প্রয়োজনীয় ইমার্জিং, ফ্রন্টিয়ার কিংবা ফিউচার টেকনোলজিতে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। তবেই আমরা উন্নত দেশগুলোর মতো জাতীয় জিডিপির প্রায় ২০ শতাংশের বেশি প্রযুক্তি খাত থেকে অবদান রাখতে পারব।’

২০৪১ সালের লক্ষ্য স্মার্ট শহর ও স্মার্ট গ্রাম ॥ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং নগর উন্নয়নে কাজ করছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি হবে পরবর্তী উন্নয়নের মহাসড়ক। এই মহাসড়ক ছাড়া স্মার্ট সিটি বা স্মার্ট টেকনোলজি কোনোটাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বিনির্মাণে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে আমাদের ফাইভজি কানেক্টিভিটির সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ। স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট ইউটিলিটিজ, নগর প্রশাসন, জননিরাপত্তা, কৃষি, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ও সাইবার সিকিউরিটি এই চারটি প্রযুক্তিতে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।

কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডে থাকবে সব ডিজিটাল সেবা ॥ কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডে থাকবে সব ডিজিটাল সেবা। এটি বাস্তবায়নে থাকবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। ডাটা নিরাপত্তা আইন, ডিজিটাল সার্ভিস আইন, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফন্ট্রিয়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন, ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিওরশিপ অ্যাকাডেমি (আইডিয়া) আইন, এজেন্সি ফর নলেজ অন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) আইন, ডিজিটাল লিডারশিপ অ্যাকাডেমি আইন ও জাতীয় স্ট্যার্টআপ পলিসি প্রণয়ন। এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করবে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অনলাইন কার্যক্রম নিশ্চিতে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিম’-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। স্মার্ট ও সর্বত্র বিরাজমান সরকার গড়ে তুলতে ডিজিটাল লিডারশিপ অ্যাকাডেমি বাস্তবায়ন করবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এছাড়া ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট, মাঝারি ব্যবসাগুলোর জিডিপিতে অবদান বাড়াতে এন্টারপ্রাইজভিত্তিক ব্যবসাগুলোকে বিনিয়োগ উপযোগী স্ট্যার্টআপ হিসেবে প্রস্তুত করা।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। অল্টারনেটিভ স্কুল ফর স্ট্যার্টআপ এডুকেটরস অব টুমরো (এসেট) প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এটি বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ নলেজ ডেভেলপমেন্ট পার্ক নির্মাণ ও পরিচালনা। এটি বাস্তবায়নে থাকছে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। সেন্টার ফর লার্নিং ইনোভেশন অ্যান্ড ক্রিয়েশন অব নলেজ (ক্লিক) স্থাপন। বাস্তবায়নে থাকছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। এজেন্সি ফর নলেজ অন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠা। বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। সেলফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিওরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিড) প্ল্যাটফর্ম স্থাপন। এটি বাস্তবায়ন করবে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। কনটেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লিংকেজ ল্যাব  (সেল) স্থাপন। তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এটি বাস্তবায়ন করবে। সার্ভিস এগ্রিগ্রেটর ট্রেনিং (স্যাট) মডেলে সরকারি সেবা ও অবকাঠামোনির্ভর উদ্যোক্তা তৈরি করা। বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ ॥ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’। এতে সদস্য আছেন পাঁচজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী। গত আগস্টে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত যে গেজেট প্রকাশ করেছে তাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিবকে এই টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন যুগ্ম-সচিব জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্ট্যার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ আরও পনেরো জন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি- বেসরকারি পদাধিকারী, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন।

গেজেটে টাস্কফোর্সের নয়টি কার্যপরিধিও সুস্পষ্ট করা হয়। এগুলো হলো- ১. অগ্রসরমান তথ্যপ্রযুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান। ২। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তরের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দিক নির্দেশনা প্রদান। ৩. স্মার্ট ও সর্বত্র বিরাজমান সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক ও বৈজ্ঞানিক পরিমন্ডলে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিধি-বিধান প্রণয়নে দিক নির্দেশনা প্রদান। ৪. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান। ৫. এজেন্সি ফর নলেজ অন এরানোটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান। ৬. ব্লেন্ডেড এডুকেশন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ফাইভজি সেবা চালু পরবর্তী সময়ে ব্যান্ডউইথের চাহিদা বিবেচনায় চতুর্থ সাবমেরিন ক্যাবলে সংযোগের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান। ৭. রপ্তানি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মেড ইন বাংলাদেশ পলিসি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সময়াবদ্ধ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে দিক নির্দেশনা প্রদান। ৮. আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর