শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারে প্রায় ১ লাখ মানুষকে নেওয়া হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে

রিপোর্টারের নাম : / ১৪০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় কক্সবাজারের ৮ উপজেলার উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর আগে জেলার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ৬ লাখ ৫ হাজার ২৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

রোববার রাত থেকে আবহাওয়া বিভাগ কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় উপকূলে আছড়ে পড়ছে। রাতে জোয়ারের পানি বাড়বে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এ দিকে উত্তাল সাগরেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় ছিল। সকাল থেকে পর্যটকদের সামাল দিতে গিয়ে টুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়।

টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, ‘সৈকতের লাবনী থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক পর্যটক সমাগম ছিল। সবাইকে সৈকতে তীর থেকে নিরাপদে থাকতে মাইকিং করে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’

জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও ও টেকনাফ উপজেলায় উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। মহেশখালীর ধলঘাটা এলাকায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। উপকূলজুড়ে বিকেল থেকে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোলা হয়েছে  ৯ টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৪ টি মেডিকেল টিম। এ ছাড়া ৩২৩ মেট্র্রিক টন চাল,  ৮ লাখ  ২৫ হাজার নগদ টাকা ও এক হাজার ১৯৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৫০ কার্টুন ড্রাই কেক, ৪০০ কার্টুন বিস্কুট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ হাজার ২০০ জন পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ–পুলিশ এবং ৮ হাজার ৬০০ জন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী ও সিপিপি সদস্য। আশ্রয়শিবিরে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা; গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ জাহিদ ইকবাল বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় এক লাখ মানুষ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারি অফিস আদালতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিদ সাইফ আহমেদ বলেন, ‘উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকেছে। কোথাও কোথাও জোয়ারের পানি ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় উপকূলে আছড়ে পড়েছে। শহরের সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাউবোর লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বেড়িবাঁধ পর্যবেক্ষণে রেখেছে।’

প্রসঙ্গত সোমবার বিকেল ৩টা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর