কক্সবাজার-মহেশখালী সেতুর দাবী জানিয়ে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন চেয়ারম্যান তারেক

পাঁচ বছর পর ৭ ডিসেম্বর এক দিনের সফরে কক্সবাজারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জড়ো হয়েছে শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।তৃণমূল পর্যায়েও জোরেশোরে চলছে প্রচারণা। এসব প্রচারণায় তুলে ধরা হচ্ছে সরকারের ১৪ বছরে কক্সবাজারে বাস্তবায়নাধীন সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৭২টি উন্নয়ন প্রকল্প।
কয়েক দিন ধরে স্থানীয় ব্যক্তিদের আড্ডা-আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে কক্সবাজারে বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের তিনটি বিশেষ প্রকল্পের কথা। এগুলো হলো ১. চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের রেললাইন সম্প্রসারণ ও কক্সবাজারে ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ। ২. সাগরের পানি ছুঁয়ে সুপরিসর বিমান ওঠানামার জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দরে দেশের দীর্ঘ (১০ হাজার ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের) রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প ও ৩. জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে গৃহহীন ৪ হাজার ৪০৯ পরিবারের ২০ হাজার মানুষের জন্য খুরুশকুলে ১৩৭টি পাঁচতলা ভবনের (ফ্ল্যাটবাড়ি) বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প।
এইসব প্রকল্পের এর পাশাপাশি জনসভায় বক্তব্যে মহেশখালী -কক্সবাজার সেতুর দাবী তুলেছেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ৩নং কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ। তিনি বলেন, মহেশখালী অর্থনীতি বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতোমধ্যে মহেশখালী দ্বীপে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২১ হাজার একর ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি ফ্রি ট্রেড জোন স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। মহেশখালীতে বিদ্যুেকন্দ্র হচ্ছে, এলএনজি টার্মিনাল হচ্ছে, গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে এটি হবে বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান। তাই এই মহেশখালী উপজেলাকে জেলা শহর কক্সবাজার এর সাথে সংযোগ করার লক্ষ্যে মহেশখালী-কক্সবাজার সংযোগ সেতুর কোনো বিকল্প নাই বলে জানান চেয়ারম্যান তারেক।
সাংবাদিক, শিক্ষক ও রাজনীতিবীদ সমাজের সকল শ্রেণীর একই দাবী কক্সবাজার – মহেশখালী সেতুর। এই সেতু হলে মহেশখালীর দীর্ঘদিন এর আশা পূরণ হবে বলে জানান স্হানীয় সাধারণ মানুষ। আর থাকবেনা দুর্ভোগ। অসুস্থ রোগী ও ডেলিভারী রোগীর ক্ষেত্রে পারাপারের পড়তে হবেনা সমস্যায়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মহেশখালীবাসীর প্রাণের দাবী কক্সবাজার – মহেশখালী সেতুর ঘোষণা করুক কক্সবাজার জনসভায়। পূরন করা হউক মহেশখালী দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা।