কারাগারে আটক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মুক্তির দাবিতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
বরগুনা প্রতিনিধি :বরগুনার আমতলীর সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবী করে প্রতিবাদ ও মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মেয়ে ফারহিন বাসার জিমি।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে এ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে জিমি বলেন, আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার বাবাসহ আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষী কর্মি সমর্থকরা বর্তমানে চরম হয়রানির শিকার। আমরা স্বাভাবিক প্রচার প্রচারনা চালাতে পারছিনা। আমার বাবা বর্তমানে উদ্দেশ্যমূলক সাজানো ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। অথচ উক্ত মামলার ঘটনা সম্পর্কে আমার বাবা কিছুই জানেনা। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল আমতলী শহর থেকে ৬/৭ কিলোমিটার দূরে নাচনা পাড়া গ্রামে অবস্থিত। অথচ ওই সময় আমার বাবাসহ উক্ত মামলার ১ থেকে ৩ নং আসামী আমতলী শহরে অবস্থান করছিলো। যার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোবাইল কলরেকডিং পর্যলোচনা করলে জানা যাবে। আমার বাবা যাতে নির্বাচন না করতে পারে সে জন্যই উদ্দেশ্যমূলক হত্যাকান্ড মামলায় তাকে জড়িত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নাচনাপাড়া এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে ১০ এপ্রিল হিরন গাজী নিহত হয়। ওই নির্মম হত্যাকান্ডে আমার পরিবার শোকাহত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীর বিচারের দাবি জানাই। আমাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা আমতলী ইউনিয়নের বেশিরভাগ খালগুলো দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করে আসছিল। এই খালগুলো সাধারন মানুষ ব্যবহার করতে পারে না। আমার বাবা এই খালগুলো উদ্ধার করে জনসাধারনের ব্যবহরের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষনা দেয়। এই ঘোষনা বাস্তবায়নের জন্য গত ৮ এপ্রিল আমার বাবা নয়ন মৃধা প্রশাসনের সহয়াতা কামনা করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। বরগুনার জেলা প্রশাশক ও পুলিশ সুপার তদন্ত করে এই অবৈধ খালগুলো অবমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহন করে। এই অবৈধ খাল মুক্ত করার ঘোষনা ও প্রশাসনের অভিযোগের পর থেকে আমাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থী আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলো। তাহার বিরুদ্ধে আমার বাবার এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় আমার বাবাকে নির্বাচন হতে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ভাবে তাকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবা নয়ন মৃধা এই হত্যা কান্ডের পর বাসায় অবস্থান ও নির্বাচনী প্রচারনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। তাকে ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার নির্বাচনী অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধার প্ররোচনায় হিরনের স্ত্রী প্রকৃত আসামী আড়াল করে আমার বাবাসহ তার কর্মীদের হত্যা মামলায় আসামী করে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসবে। এই মামলায় অজ্ঞাত ৪০/৫০ জন আসামী করায় বর্তমানে আমাদের কর্মীরা আতঙ্কে নির্বিঘ্নে মাঠে প্রচারনা চালাতে পারছে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার লোকজন আমাদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে জনগনের মাঝে ভীতি ও সংশয় কাজ করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকান্ডের বিচারের জোর দাবীসহ দ্রুত আমার বাবার মুক্তি কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে কারাগারে আটক চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার বড়ভাই কামরুজ্জামান হিরু মৃধা, জাকির হোসেন কবির সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।