মারা যাওয়া কয়েদি হলেন, নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার মধ্যম চেঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৪)। তার কয়েদি নং- ২৫৯৭/এ।
কারা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ওই কয়েদি কারগারের ভেতরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এটা অন্য কয়েদিরা দেখে ফেলে। পরে সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ভোর পৌনে ৫ টার দিকে হাসপাতালে কতৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, মারা যাওয়া কয়েদি ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারগারে আসেন৷ তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাতিয়ায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ওই কয়েদি রাত সাড়ে ৩ টার দিকে কারাগারের মধ্যে গলায় চাদর প্যাঁচিয়ে ওয়াশরুমের (ventilation) এর সাথে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন৷ মৃত্যুর পর তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি শেষে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।