মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নাগেশ্বরীতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে কারখানা খোলার দাবিতে গণ সমাবেশ শুরু  ভূরুঙ্গামারীতে ৩ ইটভাটার ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড! গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় আওয়ামিলীগ নেতা গ্রেফতার কুড়িগ্রামে বিএনপির ৯টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা দীর্ঘ ৭ বছর পর বাংলাদেশি স্বামী-স্ত্রীকে ফেরত দিল ভারত লালমনিরহাটে ক্লিনিকের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ভেসে উঠলো “জয় বাংলা ছাত্রলীগ আবার ফিরবে উল্লাপাড়ায় হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার কোনবাড়ীতে ইয়াবাসহ যুবক আটক

চট্টগ্রামে হচ্ছে অত্যাধুনিক গমের গুদাম

রিপোর্টারের নাম : / ১৬১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যশস্যের সঠিক সংরক্ষণের জন্য কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত কংক্রিট গমের সাইলো ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হচ্ছে স্টিলের তৈরি গমের সাইলো। গতকাল রোববার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গমের স্টিল সাইলো নির্মাণ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।

সাইলো নির্মাণের প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও যুক্তরাস্ট্রের জিএসআই গ্রুপ এলএলসি। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নির্মিতব্য এই সাইলোটির নির্মাণকাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবে খাদ্য অধিদফতর।

সাইলোটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত গমের গুণগত মান নিশ্চিতে রাসায়নিক দ্রব্য ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না, যা প্রচলিত খাদ্য গুদাম বা সাইলোতে সম্ভব নয়। দেশের স্থানীয় সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে শস্যের আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ না থাকায় গুদামগুলোতে সব মৌসুমে ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী শস্য মজুদ করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে, দীর্ঘদিন গম সংরক্ষণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এ সাইলো। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। আমাদের কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই দেশব্যাপী আধুনিক খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে যেকোন সময় ও যেকোন অবস্থায় আমাদের দেশের মানুষের জন্য খাবারের যথেষ্ট মজুদ থাকে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এ সময়োপযোগী পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এমন সব উদ্যোগের ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে; বিশেষ করে, দুর্যোগের মুহূর্তে খাদ্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা সম্ভব হবে, সে আশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, কনফিডেন্স গ্রুপের বোর্ড সদস্য রুপম কিশোর বড়ুয়া, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের পরিচালক মো. রেজাউল করিম শেখ।

চট্টগ্রামের এ সাইলোটিসহ ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার’ প্রকল্পের আওতায় দেশের আটটি স্থানে অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে দু’টিতে গম এবং ছয়টিতে চাল সংরক্ষণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর