জমি ক্রয় করে প্রতারণার স্বীকার নজির হোসেন! প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

লালমনিরহাটে জমি কবলা নিয়ে প্রতারণার স্বীকার হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নজির হোসেন।বুধবার (৯ নভেম্বর) লালমনিরহাট জেলা সদরের বড়বাড়ি ইউনিয়নে শিবরাম এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নজীর হোসেন বলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম এলাকার মৃত আতাউর রহমানের ছেলে গোলাম সরওয়ার ইমরান (৫০), গোলাম মওলা জাফরান (৫৫), খোদ্দসাপটানা যুগীটারী এলাকার আইয়ুব আলীর স্ত্রী ও গোলাম সরওয়ার ইমরান এর বোন রওশনয়ারা (৬০), দলিল লেখক আঃ মান্নান হিরা (৩৫) ও মোশাররফ হোসেন মুন ( ৩৭) গত ১৮/৬/২০২০ ইং তারিখে উক্ত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির দাম নির্ধারণ করে। ১৩ শতক সম্পত্তির মূল্য ৫ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা ধার্য্য হয় এবং গোলাম সরওয়ার ইমরান ও রওশনয়ারার উপস্থিতিতে ২৫/৫/২০১৮ ইং তারিখ বায়না পত্র লিখিত হয়। উক্ত বায়না পত্র মোতবেক ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা আসামীরা বুঝিয়ে নেন। বাকী ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা গত ১৭/৬/২০২০ ইং তারিখ এর মধ্যে পরিশোধের শর্তে বায়না পত্র লিখিত হয়েছিল। কিন্তু গোলাম সরওয়ার ইমরান বলেন, দলিল লেখক তাদের আত্মীয় হয়। ফলে দলিল করতে কম খরচ হবে। তাদের কথা মতো দলিল সম্পাদন করা হলে পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়। গোলাম সরওয়ার ইমরান গং প্রতারণার মাধ্যমে ওই জমি কবলা রদ-বদল দেখিয়ে নজির হোসেনের ক্রয় কৃত জমি তারা সকলেই আত্মসাত করার জন্য বিভিন্ন কুঠ-কৌশল অব্যহত রেখেছেন। অপরদিকে ১৩ শতক ও পরে ৬ শতক জমি কবলা দেয়ার নামে প্রতারণা করায় গত ২৮/৯/২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত -১, লালমনিরহাট এ গোলাম সরওয়ার ইমরানসহ ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা করেছি। যার ধারাঃ ৪০৬/ ৪২০/৪৬৫/৩৪। মামলা টি আদালত লালমনিরহাট সদর থানায় তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রায় ১ বছর ধরে আমি ওই ক্রয়কৃত জমির উপর বসত-বাড়ি নির্মান করে পরিবারসহ বসবাস করছি।
নজির হোসেন আরো বলেন, ওই জমি ক্রয়ের পর থেকে একের পর এক হয়রানি ও আপোষ মিমাংসার নামে টাল-বাহানা করছে। আমি হয়রানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উল্লেখ, প্রতারণা মামলার ৪নং আসামি হিরা ভেন্ডার গতকাল ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। হিরা গ্রেফতারের পর থেকে বাকি আসামিরা আমাকে ও আমার পরিবারের লোক জনকে মেরে ফেলা সহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।