তিন কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে ভাগ্য বদল শার্শার কয়েক গ্রামের মানুষের

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি : বর্তমান সময়ে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী এলজিইডির ভূমিকা অপরিসীম। এলজিইডির তত্ত¡াবধানে উন্নয়ন কর্মকান্ডে পাল্টে গেছে সরকারি, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাামীণ জনপদের চেহারা। তারই ধারাবাহিকতায় যশোরের শার্শায় আরো একটি গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি)।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর শার্শার লাউতাড়া ইসলামের বাড়ি হতে বেনাপোলের গয়ড়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের কাজ হাতে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ। যার কাজ শেষ হবে এ মাসের ৩০ জুন।
কাঁচা সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসা কয়েক গ্রামের মানুষ ব্যাপক খুশি হয়ে ইতোমধ্যে বাহবা দিচ্ছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষকে।
তারা বলেন, কাঁচা রাস্তা মানে দূর্ভোগের শেষ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারেনা। এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি হওয়ায় কোন ফসল ঠিক মতো হারভেষ্ট করা বা বাজার ঘাটে নেওয়া যেতো না। রাস্তাটি পাকা করণ শেষ হলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।
শার্শার লাউতাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য কুরবান আলী বলেন, গ্রামীণ কাঁচা সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগাই আমরা অনেক খুশি। ‘গ্রাম হবে শহর’ প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস ভ‚মিকা পালন করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
বেনাপোলের গয়ড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মিন্টু মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি কাঁদায় নিমজ্জিত ছিল। পায়ে হাটা ছিল কস্টদায়ক। এখন সড়কটি নির্মাণ হলে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে উলাশি, জামতলা, বাগআঁচড়া, কলারোয়া ও সাতক্ষীরার মধ্যে যাতায়াত করতে পারবো।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসার এম এম মামুন হাসান বলেন, মেয়াদ কম থাকায় খুব জোরেশোরে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই উন্নয়ন কাজ শেষ হবে। সড়কটি দৃশ্যমান হলে লাউতাড়া ও গয়ড়াসহ কয়েক গ্রামের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ঘটবে।