সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন

দুই দেশের সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যাশা

রিপোর্টারের নাম : / ৪৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪

কেমন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর? এক কথায় জবাব হচ্ছে ‘ভালো’। আর একটু বিস্তারিত বলতে গেলে দুই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই উদ্ধৃত করা যায়। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘আমরা দুই দেশের আরও সংযোগ, সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক অনেক পুরনো এবং ঐতিহাসিক। এই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আমরা কাজ করছি।’ দুই নেতার বক্তব্যে সফরের সাফল্য-ব্যর্থতার একটি চিত্র পাওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে, পরিবেশ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে নির্দ্বিধায় বলা যায়, দুই নেতার বক্তব্য ছিল খুবই আন্তরিক। শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় আচার পালনের জন্য নয়, তারা মন খুলে বৈঠকে আলোচনা করেছেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সমাধানের পথ খুঁজেছেন। তাদের শারীরিক ভাষায় (বডি ল্যাঙ্গুয়েজ) এই আন্তরিকতা ছিল স্পষ্ট।

অনেক দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের আগে আরও একটি শব্দ ‘অকৃত্রিম’ যুক্ত করতে হয়। দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাও খুব স্পষ্ট। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গত নির্বাচন পর্যন্ত আমরা এই সম্পর্কে দৃঢ়তা প্রত্যক্ষ করেছি। মাত্র এগারো দিন আগে প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত সফরে ভারত গিয়েছিলেন তৃতীয় মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। সংক্ষিপ্ত সময়ে আবারও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে দিল্লি গেলেন আন্তরিকতার কারণেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সফরের সময় প্রকাশ্য সংবাদ ব্রিফিংয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নিশ্চয়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। রাষ্ট্রীয় আচারে এই আমন্ত্রণ জানানো এবং তা রক্ষা করা স্বাভাবিক হলেও ভারত-বাংলাদেশ হলেই এটি হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ।

আলোচনা চলছে এই সফরের প্রাপ্তি নিয়ে। এই আলোচনা শুধু  ঢাকায় নয়, দিল্লিতেও। ভারতের নাগরিকরা আলোচনা করছেন তাদের প্রাপ্তি নিয়ে। বাংলাদেশের আলোচনা নিজেদের প্রত্যাশা সম্পর্কে। প্রকাশ্যে প্রাপ্তি সকল সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সমঝোতা স্মারক কিংবা চুক্তির ক্ষেত্রে পক্ষভুক্ত দেশগুলো নিজেদের স্বার্থ বিবেচনা করবে এটিই স্বাভাবিক। স্বাক্ষরের আগে দুই পক্ষ দীর্ঘ বৈঠকে দর কষাকষি করে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকগুলো তৈরি করেন। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকতার বাইরেও থাকে অনেক সমঝোতা। এগুলো কখনো প্রকাশিত হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে থেকে যায় চোখের আড়ালে। পর্যবেক্ষক কিংবা বিশ্লেষকরা নানা সূত্র থেকে এগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো সঠিকও হয় না।

দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে মোট দশটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)। বলা হয়েছে, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরও সুসংহত করতে এইসব এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি নতুন, তিনটি নবায়ন। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা হয়। আলোচনায় দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সংযোগ, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সমুদ্রসম্পদ, বাণিজ্য, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব প্রাধান্য পায়। পরে স্বাক্ষরিত হয় সমঝোতা স্মারক। দুই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ ব্রিফিংয়ের আগে তা প্রকাশ করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সাতটি নতুন সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সমুদ্র অর্থনীতি ও সমুদ্র সহযোগিতা, ভারত মহাসাগরে যৌথ গবেষণা, ডিজিটাল পাটনারশিপ, ভারত-বাংলাদেশ সবুজ অংশীদারিত্ব, রেল সংযোগ, যৌথ ক্ষুদ্র উপগ্রহ প্রকল্পে সহযোগিতা, সামরিক শিক্ষা। তিনটি নবায়নকৃত সমঝোতা স্মারক হচ্ছে মৎস্য সহযোগিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য সহযোগিতা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তার পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি, নদীটির সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ভারত সাহায্যের হাত বাড়াতে চায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ প্রসঙ্গে নিজেই জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য দ্রুত একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে যাবে। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, তিস্তা নিয়ে এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন ও ব্যবস্থাপনারই অংশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা নিয়ে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও আগ্রহ দেখিয়েছে, কারিগরি দল পাঠানোর কথাও বলেছে। তিনি এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেছেন। নরেন্দ্র মোদি তার বক্তৃতায় বলেছেন, ভারত সরকার বাংলাদেশীদের জন্য ই-মেডিক্যাল ভিসা প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভিসা সুবিধার জন্য রংপুরে খোলা হবে একটি নতুন সহকারী হাইকমিশনারের দপ্তর। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রেল সম্পর্কিত সমঝোতা অনুযায়ী রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে। কলকাতা ও চট্টগ্রামের মধ্যে চালানো হবে বাস পরিষেবা। গেদে-দর্শনা ও হলদিবাড়ী-চিলাহাটির দলগাঁও পর্যন্ত চালানো হবে মালগাড়ি। সিরাজগঞ্জে কনটেনার ডিপো তৈরিতে ভারত সহযোগিতা করবে। ভারতীয় গ্রিডের সাহায্যে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি করবে। বাংলাদেশের ৩৫০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ভারত এবং গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়নে টেকনিক্যাল কমিটি কাজ শুরু করবে।

এগুলো হচ্ছে মোটামুটি দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক প্রাপ্তির বিষয়। নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পক্ষভুক্ত মানুষ প্রাপ্তির পরিমাণ যাচাইয়ের চেষ্টা করবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়াও হবে আলাদা। বিতর্ক হবে প্রচুর যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কিছু বিষয় আলাদা করে দেখা যেতেই পারে। সমঝোতা স্মারকের বিশেষ কিছু বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এর মধ্যে তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি রয়েছে রেল ও সড়ক পরিষেবা বৃদ্ধি, পুলিশ প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, মেডিক্যাল ই-ভিসা চালু এবং রংপুরে ভিসা সেন্টার খোলা। সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন সহযোগিতার মধ্যে সমুদ্র গবেষণা, ডিজিটাল ও সবুজ অংশীদারিত্ব ইত্যাদি। আমন্ত্রণ রক্ষা করে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করলে আরও কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতা হতে পারে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক দুই হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ এবং রীভা গাঙ্গুলী একটি অনানুষ্ঠানিক ব্রেকফাস্ট প্রাতঃরাশ বৈঠকে বাংলাদেশের কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। তারা দুজনই আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব তৈরি করবে। তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কৌশলগত কারণে ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করবে। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই এই সুযোগ গ্রহণ করে বিদ্যমান অনেক দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

একুশে জুন শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাকে জানানো হয় উষ্ণ অভ্যর্থনা। রাষ্ট্রীয় আচার অনুযায়ী ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধণ সিং তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকেও তাকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। এর বাইরে বিশেষ লোকনৃত্যের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান একদল নৃত্যশিল্পী। এগুলো তাদের রাষ্ট্রীয় আচার নয়, বিশেষ সম্পর্কের কারণে বিশেষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এগুলো করা হয়। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর। পরে বৈঠক করেছেন ভারতীয় শিল্পপতিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিবারই বিদেশ সফরের সময় ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপকে সফরসঙ্গী করে নেন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের উপস্থিতিতে বৈঠক করেন। এইসব বৈঠকে সাধারণত বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিদেশী ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা পরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ভিত্তিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের চেষ্টা করেন।

দ্বিতীয় দিন শনিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা। গার্ড অব অনার ছাড়াও দুই দেশের প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এই অনুষ্ঠানে। সারাদিনের আরও কর্মসূচির মধ্যে ছিল রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো, হায়দরাবাদ হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজ, ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ। রাতে বিশেষ বিমানে প্রধানমন্ত্রী  ঢাকা ফেরেন

দুইদিনের কার্যসূচির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টিও তাই এই বৈঠকের প্রতিই ছিল। দুই প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য বৈঠকের কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে। বক্তৃৃতা করার সময় দুই নেতার আন্তরিক ও প্রাণবন্ত বক্তৃতা, স্বতঃস্ফূর্ততা, উজ্জ্বল মুখম-ল এবং অঙ্গভঙ্গিতে বৈঠকের সাফল্যই প্রকাশিত হচ্ছিল। প্রথম বক্তৃৃতা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বভাবসুলভ হিন্দিতে দেওয়া তার বক্তৃৃতা ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু গোছানো। আন্তরিকতা এমন ছিল যে এইদিন (শনিবার) দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচের কথা উল্লেখ করে দুই দেশের জন্যই শুভকামনা জানান। সর্বদা স্মিতহাস্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা করেন বাংলায়। বক্তৃতা করার সময় তাকে খুবই আত্মপ্রত্যয়ী মনে হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দুটি সরকারই নতুন। উন্নয়নের ও বন্ধুত্বের পথেও আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা ঘোষণা করেছি রূপকল্প-৪১ এবং ভারতের রয়েছে বিকশিত ভারত-৪৭। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা নিশ্চয়ই এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। ৮ মিনিটের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, আমদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। উন্নয়নের জন্য দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। তিনি হিন্দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশে এলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে, সুগম হবে আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর