দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
এসংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানির পর গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও মো. সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে কালের কণ্ঠে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে শুনানিতে রিটকারীর আইনজীবী বলেন, ‘এই দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরও দুদক স্ব-উদ্যোগে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়নি।
শুনানির পর বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘ভারতের পাবলিক সার্ভিস হোল্ডারদের জন্য সম্পদ বিবরণী আইন আছে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় তার কত সম্পদ ছিল আর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় তার সম্পদের পরিমাণ কত, তার বিবরণী একজন সরকারি চাকরিজীবীকে দিতে হয়। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় দেওয়া সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে অবসরে যাওয়ার সময় দেওয়া বিবরণীতে সম্পদের পার্থক্য ১০ শতাংশের বেশি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমাদের দেশে এ রকম আইন এখন পর্যন্ত করা হয়নি। দুদকের আইন আছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে এ ধরনের আইন আমাদের দেশেও করা দরকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এ ধরনের আইন করতে হবে। আমরা চাই, অন্যায়-দুর্নীতি করে কেউ যাতে পার না পায়।’
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান অনুসন্ধান কমিটি গঠনের আদেশ উপস্থাপন করে বলেন, সাবেক পুলিশপ্রধানের বিরুদ্ধে এটি গুরুতর অভিযোগ। দুদক এরই মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
এরপর আদালত সব পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করে আদেশে বলেন, যেহেতু দুদক এরই মধ্যে অভিযোগ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করেছে, ফলে এই রিটে রুল জারি কিংবা অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়ার আর প্রয়োজনীয়তা নেই। অনুসন্ধান কমিটিকে আগামী দুই মাসের মধ্যে অভিযোগের অনুসন্ধান বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।