দেশে আরও চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে

বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) পিএইচডি গবেষক ভর্তির অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রকাশিত সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৩ -এ এনএসইউ বাংলাদেশের এক নম্বর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে গবেষক, অনুষদ সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের ফলে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক করাতে পারলে র্যাংকিংয়েও আরও উচ্চতর স্থান পেতে পারতাম। গবেষকরা আমাদের জন্য বৈদেশিক আয় নিয়ে আসে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির মর্যাদা নির্ভর করে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত গবেষণার সংখ্যার ওপর। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যত বেশি গবেষণা প্রকাশিত থাকে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি তত বেশি মর্যাদাপূর্ণ। আমাদের আরও গবেষক, আরও পিএইচডি অনুষদ এবং আরও বিদেশি অনুষদ, কর্মী এবং ছাত্র থাকা দরকার। এ সময়ে তিনি এনএসইউতে পিএইচডি গবেষক ভর্তির অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এ মর্যাদাপূর্ণ র্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে। এ অর্জন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এনএসইউকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৩ এ বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ৬০১-৮০০ মধ্যে স্থান অর্জন করছে। তার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্প্রতি টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রকাশিত সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৩ এ দেশের সরকারি-বেসরকারি পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ৬০১-৮০০তম স্থান করে নিয়েছে। এটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত কারণ দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মোট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিংয়ে অবস্থান করে নিয়েছে।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ, চার অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান/পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী প্রমুখ।