মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধার স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে! শ্রীপুরে চার বছরের শিশুর গায়ে সৎ বাবার গরম ছুরির ছ্যাঁকা যশোরের ঝিকরগাছায় জমি দখলকারীদের হামলায় মা-ছেলে জখম বেনাপোলে পাসপোর্টযাত্রীর জাল ভ্রমণকর সরবরাহের অভিযোগে আবারও শামিম আটক দেশব্যাপী নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বেনাপোল কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন লালমনিরহাটে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার ঘটনায় মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, হামলায় পুলিশসহ আহত ৫ জন রংপুরের তারাগঞ্জে সাংবাদিক নাজিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলা! লালমনিরহাটের আলোচিত হাসিনার কাটা মাথা উদ্ধার গ্রেপ্তার-১

দেশে সবুজ পোশাক কারখানা বেড়ে ২০৭

রিপোর্টারের নাম : / ৬৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের শাহ ফতেহ উল্লাহ টেক্সটাইল মিলস নামের আরও একটি তৈরি পোশাক কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) সনদ পেয়েছে। এর ফলে দেশের পোশাক শিল্প নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশে বর্তমানে সবুজ কারখানার সংখ্যা ২০৭টি।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের শাহ ফতেহ উল্লাহ টেক্সটাইল মিলস ইউএসজিবিসি থেকে প্লাটিনাম-রেটেড লিড সনদ পেয়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে টেকসই শিল্পায়নের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে।

এই উল্লেখযোগ্য মাইলফলক পরিবেশগত তত্ত্বাবধান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারকে তুলে ধরেছে। ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এখন গ্রিন ফ্যাক্টরি ২০৭টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৭৭টি, গোল্ড ১১৬টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ৪টি।

আরও প্রায় ৫০০ কারখানা ইউএসজিবিসির সনদের অপেক্ষায় আছে উল্লেখ করে বিজিএমইএর সহসভাপতি বলেন, আমি আশা করছি, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমরা আরও একটি নতুন মাইলফলকে পৌঁছাতে পারব। বিজিএমইএ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ অর্জন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়া এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের প্রচেষ্টায় আরেকটি সাফল্য।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, এ ধরনের সনদ অর্জন করতে হলে কারখানাকে কার্বন নিঃসরণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার সীমিতকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কারখানার অভ্যন্তরের পরিবেশ উন্নত করাসহ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে হয়। ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে মনোযোগী হয়েছেন দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তারা। ফলে বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরিবেশবান্ধব কারখানার মুকুট এখন বাংলাদেশের। বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। তারা ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দেয়। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর