নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে বরাদ্দ থাকছে ২৫০ কোটি টাকা
জানা যায়, দেশে বর্তমানে স্বীকৃতি বা অনুমোদনপ্রাপ্ত কিন্তু নন-এমপিও এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। ফলে প্রতিবছর বাজেট এলে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফোটে, এবার বরাদ্দ থাকছে তো!
এ ছাড়া কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তারাও আসছে অর্থবছরে নতুন এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ চেয়েছে। তবে তাদের বিভাগে এ খাতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।
সূত্র জানায়, আবেদন গ্রহণের মাধ্যমে সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার প্রায় দুই হাজার ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে নতুন এমপিওভুক্তি দেয়। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেও বিশেষ বিবেচনায় শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি দেওয়া হয়। তবে ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পর প্রায় ৯ বছর এই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল।
জানা যায়, যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে প্রতিবছর এমপিওভুক্ত করা হয়, সে জন্য একটি নীতিমালা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই আলোকে বিশেষায়িত অটোমেটেড সফটওয়্যারে এমপিওর আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। এমপিওভুক্তির প্রধান তিনটি মানদণ্ড হলো—শিক্ষার্থীর সংখ্যা (৩০ নম্বর), পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (৩০ নম্বর) এবং পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার (৪০ নম্বর)। আবার প্রতিষ্ঠানভেদে কমপক্ষে কতজন শিক্ষার্থী থাকতে হবে, কতজন পরীক্ষা দিতে হবে এবং পাসের হার ন্যূনতম কত হতে হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ওই নীতিমালায়।
বাংলাদেশ নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন নবী ডলার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখন নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষকদের নানা কিছু আত্মস্থ করতে হচ্ছে। তারা যদি বেতনই না পান, তাহলে কিভাবে অভ্যস্ত হবেন? প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বলেছিলেন, প্রতিবছরই যেন এমপিওভুক্ত করার কাজটি বহাল থাকে। কিন্তু বরাদ্দ থাকার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সে কাজটি করছে না। আমরা চাই, যেসব প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি বা অনুমোদন রয়েছে, মানবিক কারণে হলেও তাদের সবাইকে যেন আসছে অর্থবছরের বাজেটে এমপিওভুক্ত করতে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়।’