বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে যুবলীগ সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে ১১ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ ভাঙ্গুড়ায় ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে দিনমজুর এর আত্মহত্যা গাকৃবিতে গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ২০২৪ টার্মের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত বেনাপোলে ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী ভারত থেকে চোরাইপথে বাংলাদেশে প্রবেশকালে বেনাপোল সীমান্তে ৯ বাংলাদেশি আটক। এবার যশোর শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে২১ হাজার ৬৬২ পরীক্ষার্থী কমেছে শার্শা উপজেলায় নৌকা চালানো নিয়ে দ্বন্ধে, বোমা বিস্ফোরণ আহত-২ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ১২টি টিয়ারশেল উদ্ধার র‍্যাবের হাতে শিশু অপহরণ মামলার যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার

প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি জঘন্য অপরাধ হাইকোর্টের মন্তব্য

রিপোর্টারের নাম : / ২২৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২

‘প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি জঘন্য অপরাধ, যারা এ কাজে জড়িত তাদের প্রতি নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই’ মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের জামিন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাদের জেলে থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি মামলায় ফাতেমা খাতুনের জামিন বিষয়ে রুল খারিজ করে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে ফাতেমার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরঃকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়। সেই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হলে তিনি অধ্যাপক ডক্টর এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন।

পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে

নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে গেলে তিনি ফোনে ছাত্রলীগের নেতা তরিকুলকে জানান যে এম আবদুস সালাম আজাদ কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অনুমোদন পাননি।

এরপর তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। সেই নথিতে ডক্টর এম এনামুল হকের নামে পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন তরিকুল। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামে পাশে টিক চিহ্ন দেন তিনি। পরে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

ওই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পর আরেক দফায় তার ছেলের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেন বলে মামলায় বলা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৫ মে এ বিষয়ে মামলা করেন। এ মামলায় ফাতেমা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানি শেষে সোমবার রুলটি খারিজ করে আদেশ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর