বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মে দিবসে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষকে বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদের শুভেচ্ছা  বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা উল্লাপাড়ায় বোরো ধান কাটার উৎসব গরমে পুড়ছে যশোর বেনাপোলে ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কাজিপুরে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রাথমিকের বই বিদ্যালয়ের বিক্রি  ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কলেজে ভাংচুর ও লুটপাটের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আ.লীগ নেতা কর্তৃক বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ৬৫ বছর পর মসজিদের সম্পত্তি উদ্ধার

বন্দরে বসছে আরো ৪ কন্টেনার স্ক্যানার

রিপোর্টারের নাম : / ১৩২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

চট্টগ্রাম বন্দরে আগামী জুলাইয়ে বসানো হচ্ছে আরো চারটি কন্টেনার স্ক্যানার মেশিন। চীনের তৈরি এসব স্ক্যানার মেশিন যুক্ত হলে বন্দরে ফিক্সড কন্টেনার স্ক্যানার সংখ্যা দাঁড়াবে ৯ –এ। এছাড়া রয়েছে আরো দুটি মোবাইল স্ক্যানার। যেগুলো এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সরিয়ে কাজ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের বিভিন্ন সভায় বন্দর ব্যবহারকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই বন্দরের ১২টি গেটেই ফিক্সড কন্টেনার স্ক্যানার বসানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ৪টি কন্টেনার স্ক্যানার স্থাপনের পর আরো ৬টি স্ক্যানার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। তখন হয়তো বন্দরের ১২টি গেটেই কন্টেনার স্ক্যানার স্থাপন সম্ভব হবে।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৫টি ফিক্সড কন্টেনার এবং দুটি মোবাইল স্ক্যানারে চলছে বন্দরের কার্যক্রম। বন্দরের ৪ নম্বর, ৫ নম্বর এবং সিসিটি–২ টার্মিনাল, এক নম্বর গেট এবং নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালের (এনসিটি) তিন নম্বর গেটে ফিক্সড স্ক্যানার রয়েছে। এছাড়া সিসিটি ২ ও জিসিবি ২ নম্বর গেটে রয়েছে মোবাইল স্ক্যানার।

আমদানি–রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি পণ্য স্ক্যানিং করে খালাস করা হলে কোনো আমদানিকারক এক পণ্য এনে অন্য পণ্য ঘোষণা দিয়ে বিদেশে অর্থপাচার করতে পারবেন না। আবার বেশি দামের পণ্য এনে কম দামি পণ্য হিসেবে অথবা উচ্চ শুল্ককরের পণ্য আমদানি করে বিনা শুল্ক অথবা কম শুল্কের পণ্য হিসেবে ছাড় করাতে পারবেন না। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি অর্থপাচারও কমবে। অস্ত্র, গোলাবারুদ কিংবা বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য এনে কেউ খালাস করতে পারবেন না।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন যুক্ত আধুনিক প্রযুক্তির স্ক্যানারগুলো এক্স–রে বা গামা–রশ্মি ইমেজিং প্রক্রিয়ায় কন্টেনার খোলা ছাড়াই এর ভেতরের রঙিন ছবি তুলতে পারবে। এসব মেশিনে স্ক্যানার ছাড়াও কন্টেনারের ওজন পরিমাপ, রেডিও পোর্টাল মনিটর এবং ইমেজিং সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত থাকে। নতুন স্ক্যানারগুলো ‘বোথ ওয়ে’ স্ক্যান ডিরেকশনে স্ক্যানিং করতে সক্ষম। অর্থাৎ আমদানি ও রপ্তানি উভয় কন্টেনার এই স্ক্যানিং মেশিনে করা যায়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুনশি দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে আগামী জুলাই মাসে ৪টি কন্টেনার স্ক্যানার যুক্ত হতে যাচ্ছে। এছাড়া পরবর্তীতে আরো ৬টি মেশিন কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে ক’টি দেয়া হবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের আওতায় অঘোষিত ও বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর