বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়নে টিম চিহ্নের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কোনাবাড়ীতে টিনশেড বাসায় অগ্নিকাণ্ড,৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ভারত যাওয়ার পথে ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রীসহ গ্রেফতার ২ শিক্ষককে মারধোর,সেই যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে দিনব্যাপী দুদকের অভিযান গাজীপুরে স্কুল শিক্ষককে মারধোরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই: বিশ্বব্যাংক

রিপোর্টারের নাম : / ১৪৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই বলে সুখবর দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপ বাংলাদেশকে এই সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি।

খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে নিয়ে এই তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কবলে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ মূল্যস্ফীতির তোপে পড়লেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক জায়গায় আছে। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হয়নি। তবে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মূলত খাদ্য ঘাটতিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছে সংস্থাটি।

খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। তবে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ও নেপালে বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়নি। পাকিস্তানে সারের অভাব এবং তাপপ্রবাহের কারণে গম ও চালের উৎপাদন কম হয়েছে। ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি অনুভব করছে। শ্রীলঙ্কায় সারের ঘাটতির কারণে কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে এবং খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অভাব রয়েছে। সার ও জ্বালানির (জমি প্রস্তুতি, পরিবহন এবং ফসল সংগ্রহের কার্যক্রমের জন্য) অভাব খাদ্য সরবরাহকে আরও সীমিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশে উঠেছে। পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচকটি সে তুলনায় অনেক কম, এক অঙ্কের ঘরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তার উদ্বেগ মোকাবিলায় চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে। এ ছাড়া কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে, সারে ভর্তুকি বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

এ ক্ষেত্রে ভারতও স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দেশটি ৪৪ হাজার টন ইউরিয়ার প্রথম চালান পেয়েছে। ভারতীয় চালের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন।

আর ভুটানে সরকার পাইকারি বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রত্যক্ষভাবে এবং রেয়াতি কাজের মূলধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী মজুত করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর