বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

বাউফলে দুই সহোদর শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতন এবং হত্যার চেষ্টা

মাসুদ রানা, বাউফল(পটুয়াখালী) / ২০০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নে দুই সহোদর শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতন সহ হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুই সহোদর শিক্ষার্থী জখম সহ আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জাফরাবাদ গ্রামে। আহত দুই সহোদর মোঃ নাইম হোসেন (১৬), রজ্জবিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও মোঃ জাবেদ হোসেন (১৩), একই মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা ওই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর সরদারের ছেলে।

আর অমানবিক নির্যাতন সহ হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে মোঃ কাইয়ুম গাজী, পিতা মোঃ সানু গাজী এবং মোঃ সিফাত খান, পিতা মোঃ নুর হোসেন খান, তারা একই গ্রামের বাসিন্দা।

সরেজমিনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী নাইম হোসেন ও জাবেদ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে কাইয়ুম ও সিফাত আমাদের মাদ্রাসার একটি মেয়ের মোবাইল নম্বর এনে দিতে বলেন। প্রায় সপ্তাহ খানেকের মতো হয়ে যায় মোবাইল নম্বর না দিতে পারলে আমাদের রাস্তায় পেয়ে চড়থাপ্পড় মারে। তা আমাদের শিক্ষক নাসির স্যারের কাছে বিচার দিলে তিনি ওই মঙ্গলবার তাদের ডেকে মীমাংসা করে দেন। ওইদিনই মাদ্রাসা ছুটি হলে দুপুর আড়াইটার সময় রাস্তা দিয়ে আসার পথে ওত পেতে থাকা কাইয়ুম ও সিফাত হঠাৎ সাইকেলের চেইন ও প্যান্টের বেল্ট দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে এবং রাস্তার পাশে পাতাবন সেখানে নাইমকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে এক ছুরি বের করে হত্যার চেষ্টা চালালে আমাদের ডাকচিৎকার সহ পিছনে আসতে থাকা মাদ্রাসা থেকে আমাদের চাচাতো বোনের ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে আমাদের রক্ষা করে।

শিক্ষার্থীদের বাবা মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার বলেন, স্থানীয়রা না থাকলে আজ আমার ছেলে দুটোকে ওরা মেরে ফেলতো। ওরা এলাকায় বেপরোয়া সন্ত্রাসী। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু অলৌকিক শক্তির কারনে মামলা না নিয়ে পুলিশ মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা একেরপর এক দিয়ে যাচ্ছে হুমকি ধামকি। আমি সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।

এদিকে এব্যাপারে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন প্রতিবেদক।

স্থানীয় মেম্বার ফরিদ সিকদার জানান, ঘটনাটা আসলেই খারাপ লেগেছে। আইনি ব্যবস্থা কামনা করছি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, ওরা এলাকায় বেপরোয়া সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এটা মীমাংসা হবার নয়, বরং আইনি ব্যবস্থার জন্য আমি পুলিশকে বলেছি।

এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি আল মামুন প্রতিবেদককে বলেন, এব্যাপারে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর