বেতাগীতে অর্জিত হয়নি বুস্টার ডোজের লক্ষ্যমাত্র
বরগুনার বেতাগীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বুস্টার ডোজের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের অব্যবস্থানা ও গাফেলতি, প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারনার অভাবে মানুষ বুস্টার ডোজ দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেনি। এখনো টিকার বাইরে রয়েছে উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ছিল দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ দিবস। এ দিবসে উপজেলার ২৪ টি টিকাদান কেন্দ্রে ১২ হাজার মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি এবং প্রতি ইউনিয়নে ৩টি করে মোট ২৪টি টিকাদান কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে কিাল ৩ টা পর্যন্ত ৮ হাজার ২৯২ জন মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। প্রতিটি টিমে দুজন টিকাদানকারী ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবী কর্মরত ছিলো।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৫৩ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ জনপদের মোট ৪০ হাজার ২৯২ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হলেও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া ৪৮ হাজার ২৪০ জন মানুষ এখনো বুস্টার ডোজ দেয়া হয়নি। এ উপজেলায় ৪৪ হাজার ৪৭ জন মানুষ কোন প্রকারের টিকা গ্রহন করেনি। এ পর্যন্ত কোভিট-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯৪ হাজার ৫০৬ জন, যার শতকরা হার ৬৯ ভাগ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৮৮ হাজার ৫৩২ জন, শতকরা হার ৬৫ ভাগ এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণকারীদের শতকরা হার ২৯ ভাগ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অব্যবস্থাপনা ও গাফেলতির কারণে মোট জনসংখ্যার ৩১ ভাগ মানুষ এখনো টিকার আওতায় বাহিরে রয়েছে। বুস্টার ডোজ দিবস পালনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাইকিং, ভ্রাম্যমান মাইকিং, মসজিদ-মন্দির-গীর্জায় প্রচারনা এবং লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিলেও নামে মাত্র মাইকিং ছাড়া বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তেমন কোন কর্মসূচি মানুষের চোখে পড়েনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ হোসেন জানান, মাইকিং করা হয়েছে। মানুষ আসেনি, আমরা কি করতে পারি।