চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে আম বাগানে অবৈধ ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমবাগানে অনুপ্রবেশ করে আম পেড়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২৯ মে) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার নতুন হাজীপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের আমবাগানে এঘটনা ঘটে। নিমগাছী মৌজা, ২০ নং জেএল, ৭২ নং খতিয়ান, ২৭৩১ নং হোলন্ডিং, ৫৬২ নং দাগের আম বাগানের আম পেড়ে নিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২৬ মে) ভোর ৫ টার দিকে একই দূর্বৃত্তরা হাসুয়া, লাঠিসোটা নিয়ে আম পাড়লে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বলে জানান বাগান মালিক। পরে পেড়ে নেয়া আম, আম ফাউন্ডেশনের হেফাজতে নেয়া হয়।

বাগান মালিক নতুন হাজিপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমার ক্রয়কৃত তফসিলী ২১ শতাংশ জমির খিরসাপাত, লক্ষণভোগ আম দুই দফায় উপজেলার উল্লাডাঙ্গা গ্রামের মৃত্য ফকির মোহাম্মদের ছেলে আনারুল ও তাঁর ছেলে শহিদুল ইসলামসহ ১০/১২ দুর্বৃত্ত আম পেড়ে নেয়। আম পাড়ার পূর্বে তাঁদের নামে ভোলাহাট থানা ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ জিডি করা হয় জিডি নং ২৪৮। আম পাড়ার ঘটনায় ভোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বাগান মালিকের ছেলে আলি হায়দার বলেন, দূর্বৃত্তরা ১৯৮০ সালের জাল দলীল তৈরি করে আমার পিতাকে বিভিন্ন সময় ভয় ভীতি দেখাছিল। আমি বাদী হয়ে পরিবাবের নিরাপত্তার জন্য ভোলাহাট থানায় জিডি করলে জমির দলীলপত্র দেখাবে বলে ১৬ দিনের সময় নিয়ে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত থানায় জমির দলীলপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে পারেননি।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় জমিতে গিয়ে জমির সীমানা উঠিয়ে ফেলা ও জমির বেড়া ভেঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি করে। এদিকে হঠাৎ ২৬ মে শুক্রবার ভোরে উল্লাডাঙ্গা গ্রামের মৃত্য ফকির মোহাম্মদের ছেলে আনারুল ও তাঁর ছেলে শহিদুল ইসলাম, এবং আরো ১০ থেকে ১২ লাঠিসোটা নিয়ে এসে আম পড়া শুরু করে। আম পাড়ার খবর পেয়ে জরুরী নাম্বার ৯৯৯ ফোন করলে ও আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাট এলাকা প্রতিনিধি মোঃ শরিফুল ইসলাম বাগানে গেলে আম ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ভোলাহাট থানায় ও আম ফউন্ডেশনে অভিযোগ করি।

তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় দফা ২৯ মে আবারও আম পড়তে আসার কথা শুনে বিষয়টি ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম রেজাকে জানালে, এস আই মোঃ হাবিবকে ঘটনাস্থলে পাঠান। দূর্বৃত্তরা আম পাড়ার সময় পুলিশ আসার খবরে পালিয়ে যায়।

দায়িত্বরত এস আই মোঃ হাবিব জানান, আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাট এর ঐ এলাকার প্রতিনিধি মোঃ শরিফুল ইসলামের কাছে পেড়ে নেয়া আমগুলো জমা দেয়া হয়েছে।

আম ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৬ ও ২৯ মে পেড়ে নেয়া আমগুলো আমার মাধ্যেমে ফাউন্ডেশনের হেফাজতে আছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।