‘মহাসড়কে যানজটপ্রবণ এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা’
‘ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও মহাসড়কের কোথাও যাত্রী ভোগান্তি নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুরোটাই এখন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ১৪২৭টি ক্যামেরার মাধ্যমে রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হচ্ছে। যানজটপ্রবণ এলাকায় ব্যবহার হচ্ছে ড্রোন ক্যামেরা। একটি সুন্দর স্বাচ্ছন্দ্যময় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সমন্বিতভাবে কাজ অব্যাহত আছে।’ রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত যানজটপ্রবণ বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে জেলার আলেখারচর এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান এ কথা বলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, ডিআইজি (পূর্ব) মো. মাহবুবুর রহমান, হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. খাইরুল আলম, কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজসহ জেলা-থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমরা দেশের মহাসড়কগুলোতে যানজটসহ সকল সমস্যার কারণগুলো চিহ্নিত করেছি। যানজট প্রতিরোধে ঈদের প্রায় দেড় মাস আগে থেকে আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসছি। কয়েকদিন আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহযোগিতায় মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা ও অবৈধ হাটবাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে বড় কোনো যানজটের দৃশ্য চোখে পড়েনি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঈদে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে মহাসড়কগুলোতে পুলিশের সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে।
তিনি বলেন, ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরা এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরাকে আনন্দময় করতে আমরা সবাই মাঠে আছি। ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান। তিনি বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার বাস থামিয়ে মহাসড়কের যানজট সম্পর্কে চালকদের কাছে খোঁজ নেন।