মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কোনাবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক-২ ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে মুছে যাওয়া গতিরোধক চিহ্নিতকরণ হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কার্যালয়ে দুর্নীতি দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত

মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ বিতরণ শুরু ১৮ জুলাই

রিপোর্টারের নাম : / ১৮৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১২ ধরনের বারকোড দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ছাপানো শেষ হয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ বিতরণ করা হবে। শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, মানুষ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে বলেই মুক্তিযোদ্ধারা আজ অবমূল্যায়িত হচ্ছেন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাসের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ইতিহাসও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার করা একটি যৌক্তিক দাবি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা চাকরিতে না আসতে পারলে চাকরিতে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য বেড়ে যাবে। জাতির লাভের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকাও করতে হবে পূর্ণাঙ্গভাবে। সংসদ ভবন এলাকা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের কবর সরাতে হবে। এটি জাতির জন্য কলঙ্কের।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে। অনেক বলার পর ৫০ নম্বর করা হয়েছে। আমরা এখনও অনেক ব্রিটিশ আইনেই চলি। কিছু কিছু বিষয়ে এখনও নতুন আইন হয়নি স্বাধীনতার পরে।

সম্মেলনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৬টি দাবি করা হয়। দাবিগুলো হলো- এক. নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বগাথা পাঠ্য বইয়ে সন্নিবেশিত করা, যাতে আগামী প্রজন্মের সন্তানরা তা পাঠের মাধ্যমে একাত্তরে নৌ-কমান্ডোদের ত্যাগ ও বিস্ময়কর সাহসিকতার ছোঁয়া পেয়ে দেশকে ভালোবাসার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়।

দুই. বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের জন্য ঢাকায় একটি স্থায়ী অফিসের ব্যবস্থা করে দেওয়া। তিন. নৌ-কমান্ডোদেরকে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর প্রথম প্রতিনিধি ঘোষণা করে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া। চার. নৌ-কমান্ডোদের মাইনের আঘাতে নিমজ্জিত মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ‘এমভি ইকরাম’ জাহাজটি দ্রম্নত সংরক্ষণ করা ও ‘অপারেশন জ্যাকপট’ চলচ্চিত্রটি তৈরির কাজ দ্রম্নত সম্পন্ন করা।

পাঁচ. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা সংস্কারপূর্বক পুনর্বহাল করা। ছয়. মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়পত্র ও ডিজিটাল সনদপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে নৌ-কমান্ডোদের নামের পূর্বে ‘নৌ কমান্ডো’ সংযোজন করার ব্যবস্থা নেওয়া।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বীর প্রতীক শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহজাহান খান, নৌ-কমান্ডো মীর মোশতাক আহমেদ রবিসহ নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর