মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধার স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে! শ্রীপুরে চার বছরের শিশুর গায়ে সৎ বাবার গরম ছুরির ছ্যাঁকা যশোরের ঝিকরগাছায় জমি দখলকারীদের হামলায় মা-ছেলে জখম বেনাপোলে পাসপোর্টযাত্রীর জাল ভ্রমণকর সরবরাহের অভিযোগে আবারও শামিম আটক দেশব্যাপী নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বেনাপোল কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন লালমনিরহাটে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার ঘটনায় মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, হামলায় পুলিশসহ আহত ৫ জন রংপুরের তারাগঞ্জে সাংবাদিক নাজিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলা! লালমনিরহাটের আলোচিত হাসিনার কাটা মাথা উদ্ধার গ্রেপ্তার-১

যানবাহনে এলইডি লাইট ব্যবহারের কারণে রাতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ!ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট থেকেঃ / ২২৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

লালমনিরহাটের ৫টি (পাচঁ) উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও রংপুর-বুড়িমারী মহা-সড়কে সন্ধ্যা নামলেই বিভিন্ন কালার এলইডি লাইট জ্বালানো যান-বাহন চোখে পড়ে। সেই সব এলইডি লাইটের কারনে রাস্তা চলাচলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে।

বিশেষ করে ব্যাটারী চালিত যানবাহন গুলো অটোরিক্সা, মাহিন্দ্রা, মটরসাইকেল, অটোগাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার অনেক অংশে বেরে গেছে। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা। সন্ধা নামলেই গ্রাম থেকে শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি। এই সকল যানবাহনের সামনের হেডলাইট হিসেবে যত্রতত্র যুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন কালার এলইডি লাইট।

রাতের আধার নামলেই এলইডি লাইটের কারণে বিপরীত মূখি যানবাহনের চালক কিছুই দেখতে পারেনা। তাই ঘটছে বড় ধরণের দুর্ঘটনা আর প্রাণনাশের।

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলার ৫ উপজেলায় সর্বত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা ধরনের যান-বাহনের সংখ্যা, আর সেই সাথে বেড়ে চলছে নিষিদ্ধ এলইডি লাইটের ব্যবহার। দিন দিন যেন এই আলোর কারণে জনজীবন দূর্ভোগের শেষ নেই।

এই লাইটের আলোর কারণে দাড়িয়ে যায় পথচারীরা, একটু সতর্ক না হলেই ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। একটা সময় ছিল যখন সন্ধ্যার পরে ভ্যান-রিক্সা চালানোর জন্য ভ্যানের বডির নিচে অবশ্যই হারিকেন বা সামনে কৌটার ভিতর ল্যাম্প (কুপি) জ্বালিয়ে চলাচলের কঠিন নির্দেশ মানতেন চালকরা। আজ আর সেই দৃশ্য দেখা যায় না।

এব্যাপারে ট্রাক ড্রাইভার বাপ্পি বলেন, মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ি, অটোরিকসায় বিভিন্ন কালার এলইডি লাইট ব্যবহারের কারনে রোডে প্রাণ হানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অকাতরে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। ট্রাফিক ও যানবাহন আইনে ওই সব লাইট ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকার পরও অবাধে বেড়েই চলেছে, যা এখনই প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী প্রয়োজন।

সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় যানবাহন গুলোয় ব্যবহার নিষিদ্ধ এলইডি লাইটের ফলে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা এসব লাইট যেমন চোখের ক্ষতি করে তেমনি সড়ক দুর্ঘটনাও বৃদ্ধি করে। এই লাইট দুর্ঘটনার জন্য একটি বড় কারণও বটে। প্রায়ই পথে ঘাটে দেখা যায় এগুলো। দ্রুত ধেয়ে আসা এই লাইট-যুক্ত যানবাহনের দিকে চোখ পড়লেই চোখ ধা-ধানো আলোয় সামনের দিকে আর কোনো কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না, ফলে ঘটে যায় দূর্ঘনা।

বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, এলইডি লাইটের আলো গুলো সরাসরি মানুষের চোখের কর্নিয়াকে আঘাত করে, এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এভাবে আলো চোখে লাগতে থাকলে কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাতে করে চোখে কম দেখা, ঝাপসা দেখাসহ আস্তে-আস্তে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এলইডি লাইটের আলো চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতি।

চেম্বার অব-কর্মাস এর সভাপতি আব্দুল হামিদ বাবু এ বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন কালার এলইডি লাইট যুক্ত যানবাহন গুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দরকার। কেননা এই লাইটের আলোর কারনে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে অপর দিকে মানুষের চোখের মারাত্মক ক্ষতি করছে। তাছাড়াও ট্রাফিক আইনে যানবাহনে এলইডি লাইট ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই প্রশাসনের উচিত এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া।

এ বিষয়ে নতুন বাংলার সংবাদ পত্রিকা’র সম্পাদক ও প্রকাশক আসাদুল ইসলাম সবুজ বলেন, এলইডি বিভিন্ন কালার লাইট ব্যবহার আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবে তা নিষিদ্ধ না হওয়ার কারণ প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেন। তিনি আরও বলেন, আইন আছে আইনের প্রয়োগ নাই।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর