লালমনিরহাটে গৃহবধূ’র সামনে বাবার পিটনীতে লাশ হলো ছেলে

লালমনিরহাটে গৃহবধূ’র সামনে বাবার পিটনীতে ছেলে’র মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় বাবার পিটনীতে ছেলে রানা মিয়া (২২) লাশ হওয়ায় গোটা এলাকায় জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূ রোজিনা আক্তার মীম।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সাড়ে ৩টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত রানা মিয়া’র বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের তেলিপাড়া ভাটাপাড়ায়। তিনি ওই এলাকার সহিদার রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, রংপুরের সুলতান নগর খেরবাড়ী এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন রানা মিয়া। সেখানে প্রায় ২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে। তার পর দু’জনে পালিয়ে ঢাকায় অবস্থান করেন। সেই থেকে তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি রানার বাবা-মা ও ভাই।
এরই মধ্যে রানা মিয়ার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় নতুন বউ নিয়ে প্রথমবারের মতো বাবার বাড়িতে ফিরেন রানা মিয়া। বিষয়টি জানতে পেয়ে গৃহবধূ’র সামনে তার বাবা সহিদার রহমান, মা মন্জু বেগম, ভাই মমিনুল ইসলাম মিলে বাশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে রানা মিয়াকে মারপিট করেন। মারপিটে আঘাতে তার সারা শরীর জখম সৃষ্টি হয়। এমনকি স্বামীকে বাচাতে গৃহবধূ এগিয়ে আসলে তারও শ্লীলতাহানী ঘটায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রানা মিয়া কীটনাশক পান করেন।
ওই সময় গৃহবধূ’র আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে রানা মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল ভর্তি করেন। কিন্তু রানা মিয়ার অবস্থা অবনতি হলে পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে বিকাল সাড়ে ৩টায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রানা মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার মীম বাদী হয়ে সহিদার রহমান, মন্জু বেগম, মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।