সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে মুছে যাওয়া গতিরোধক চিহ্নিতকরণ হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষক কার্যালয়ে দুর্নীতি দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দুইটি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা বরগুনায় যুব ফোরাম ও নাগরিক প্লাটফর্ম এর পরামর্শ সভা দেশে দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে কোরআনের আইন চালু করতে হবে- রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের স্মরণে কোরআন প্রতিযোগিতা ও ইফতার দোয়া মাহফিল বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে সংলাপ শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির সংবেদনশীলতা সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জের মজুমদারহাটে পিকআপ ভর্তি চাল জনতার হাতে আটক

শিবগঞ্জে সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলি মাঠ

কবির হাসান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ / ১৫২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় খরচ কম,লাভ বেশি হওয়ায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষকরা এখন সরিষা চাষ করছেন। তাদের অভিমত, ধানের তুলনায় সরিষায় লাভ বেশি। বিগত বছরগুলো থেকে চলতি মৌসুমে উপজেলায় বেড়েছে সরিষার আবাদ।

উপজেলার পাঁকা, দূলর্ভপুর, ছত্রাজিতপুর ও মনাকষাসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন সরিষার আবাদ চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে- উৎপাদনও বেশি হবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে। এ ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে। মধু উৎপাদনের জন্য কৃষক পর্যায়ে মৌয়ালদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে। সরিষা আবাদের অর্জন ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৬০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। সরিষার আবাদে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় প্রতি বছরই আবাদ বেড়ে চলেছে। প্রতি মণ সরিষা বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা দরে। উপজেলার চাষিরা জানান, অন্য যে কোনো আবাদের চেয়ে সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম লাগে।

তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সরিষার ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকুলে আছে, তাই সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফলন বৃদ্ধি পাবে প্রায় ১ হাজার ৫’শ মেট্রিক টন। এছাড়া সরিষা আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে ৩ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপজেলার মাটি সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলার কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে স্থানীয় টরি জাতের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭ ও বারি সরিষা-১৮ জাতের আবাদ করেছেন। গঙ্গরামপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর তিনি বারি সরিষা-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। সরিষার গাছ খুব ভালো হয়েছে। গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে।

তিনি আশা করছেন, এবার বাম্পার ফলন হবে। বোগলাউড়ি গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করে যা লাভ হয়, অন্য ফসলের চাইতে অনেক বেশি। এবারও ওই দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন দেখে মনে হচ্ছে, গতবারের চেয়ে উৎপাদন বেশি হবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলার কৃষকরা ব্যাপকহারে সরিষার আবাদ করেছেন। সরিষা চাষিদের মাঠপর্যায়ে পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াড সরিষার আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৬০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। সরিষা বপনের মাত্র ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। তাই সরিষাকে কৃষকরা লাভের ফসল হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর