সেপ্টেম্বরে আসছে ভোলার গ্যাস
![](https://kolomerbatra.com/wp-content/uploads/2023/08/Screenshot_5-6-700x390.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্ট্রাকো কম্পানি ভোলার গ্যাস সিএনজি করে আনতে চলতি বছরের মে মাসে সুন্দরবন গ্যাস কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে।
ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেডের কম্পানি সচিব সালাউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বরকে টার্গেট রেখেই দিন-রাতে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই ভোলার গ্যাস সিএনজি করে নিয়ে সরবরাহ করা যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে নিয়ে আসতে এবং শিল্প এলাকায় সরবরাহ করতে অত্যধিক খরচ হবে, সেটি নিয়ে চ্যালেঞ্জ আছে।
তবে শিল্প বাঁচাতে ব্যবসায়ীরা গ্যাসের মূল্য বেশি পরিশোধে আগ্রহী হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জ্বালানি বিভাগ। সে ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়ার চেয়ে কত দ্রুত এই গ্যাস নিয়ে আসা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে পেট্রোবাংলা।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভোলায় প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব। কিন্তু সঞ্চালন লাইন না থাকায় তা জাতীয় গ্রিডে আনা যাচ্ছে না। তাই বিকল্প উপায়ে গ্যাস শিল্পে দেওয়া হবে।’
ভোলায় গ্যাস উৎপাদনের কাজটি করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কম্পানি (বাপেক্স)। বাপেক্সের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে তা সরবরাহ করে সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কম্পানি। ১৯৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে বাপেক্স। একই সংস্থা ২০১৮ সালে আবিষ্কার করে ভোলার দ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্র ভোলা নর্থ। শাহবাজপুর থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয় ২০০৯ সালে। আর ভোলা নর্থ থেকে এখনো উৎপাদন শুরু হয়নি। দুটি গ্যাসক্ষেত্রে এখন দেড় ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুদ থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পেট্রোবাংলা।
চলতি বছরের এপ্রিলে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম ভোলার ইলিশা-১ কূপ খনন করে গ্যাস পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই কূপে ১৮০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। নতুন কূপ খননের পর মজুদ আরো বাড়তে পারে। চাহিদা না থাকায় গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে না