শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

ক্ষেতলালে শিক্ষক নেতাদের তোপের মুখে ক্ষমা চাইলেন আ.লীগ নেতা

সুলতান মাহমুদ, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট কে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার স্বামী ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি কর্তৃক সহকারী শিক্ষক কে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরর পর ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতাদের কঠোর আন্দোলন ও তোপের মুখে পরে ক্ষমা চেয়ে মিমাংসা করলেন আওয়ামী লীগ নেতা।

জানা গেছে, গত ১৪ জুন দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক মোঃ মাহবুবর রহমান কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দেল আফরোজ আরা বানুর স্বামী বড়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ আলী ফকির মারপিট করেন।

পরে আহতাবস্থায় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে শিক্ষক সমিতির সকল নেতাকর্মীদের সাথে পরামর্শ করে ওই আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুসিয়ারি জানানো হয়।

প্রধান শিক্ষিকার স্বামী আশরাফ আলী ফকির এর সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মাহবুবর রহমান ফেসবুকে একটি মানহানিকর পোস্ট দেয়। ফলে তার স্ত্রীর মান ক্ষুন্ন হয়েছে তাই ক্রোধের বশে তাঁকে দুইটা থাপ্পড় মেরেছেন।

ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ফাররুখ জানান, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। একটি সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই এভাবে একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে মারপিট করা ঠিক হয়নি। সে কোন অপরাধ করলে তার জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানায় অভিযোগ ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে
কঠোর আন্দোলনের হুসিয়ারি দিলে উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষক নেতাদের নিয়ে ১৫ জুন দুপুরে এক বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা আশরাফ আলী ফকির নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন ইয়াজদানী জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করার পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ভুক্তভোগী শিক্ষকের সম্মতিক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর