লালমনিরহাটে নতুন মন্দিরের জায়গা স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন!
লালমনিরহাটে নতুন মন্দিরের জায়গা স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানিয় মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুরাকুটি পূর্বপাড়া হযরত আলী (রাঃ) নুরানি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ২০১০ সালে স্থাপিত দুরাকুটি পূর্বপাড়া হযরত আলী (রাঃ) নুরানি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। নুরানি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বর্তমানে রয়েছে। এরমধ্যে হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার লিল্লাহ বোডিং এ অবস্থান করেন। সাথেই রয়েছে জামে মসজিদ। আর মসজিদ ও ঐ মাদ্রাসা থেকে ৫০০ গজের মধ্যে দুই পাশেই রয়েছে দুইটি সার্বজনিন মন্দির। অথচ মসজিদের ১০০ গজের মধ্যে আরেকটি মন্দির স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় কয়েক ঘড়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের দ্বাবি পার্শ্ববর্তী মন্দির দুটো থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। বেড় করে দেয়ার কারণ জানা যায়নি।
এদিকে মানববন্ধনে উপস্থিত মুসল্লিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে নষ্ট না হয় সে কারণেই পূর্ব থেকেই তাদের মন্দির নির্মাণের জায়গা স্থানান্তর করার জন্য মৌখিকভাবে বলেছি। কিন্তু তারা এরিমধ্যে দুরাকুটি রাইবংশীধারী সার্বজনীন দূর্গা মন্দির স্থাপনের লক্ষ্যে নির্ধারিত জায়গায় ব্যানার টানিয়ে দেয়, তাই আমাদের আজকের এই মানববন্ধন। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, আমাদের দ্বাবি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মাওলানা আজিমুদ্দিন, ডাঃ মাহবুব হোসেন, সুরত আলী, মসজিদের খতিব মাওলানা ওমর আলী, শ্রী মনোরঞ্জন রায় প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আমরা উভয় পক্ষ বসে ঘটনাটি সুরাহা করবো।
এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এরশাদুল আলম জানান, আমি ঘটনার জায়গাটি পরিদর্শন করেছি,
বিষয়টি স্থানীয় ভাবে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করবে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।