রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কাজিপুরে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন; পুড়ে ছাই ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল অধ্যক্ষ কতৃক শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ লালমনিরহাটে দাদন ব্যবসায়ীর রাতভর নির্যাতন সকালে দিনমজুরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার! ভালুকায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ রায়গঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙ্গে দিলো সন্ত্রাসীরা ঈদ বাজার বেনাপোলে দর্জি কারিগরদের ব্যস্ততা, ছিট কাপড়ের দোকানে ভীড় ভাঙ্গুড়ায় ট্রাকের নিচে পিষ্ট পূত্র বাবা আহত সিরাজগঞ্জে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি আটক ভালুকায় শ্রমিক দলের নেতা কর্তৃক শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সীতাকুণ্ডের ঘোড়ামরা যুব সমাজের উদ্দ্যোগে ১৫০ পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয়

ভোলাহাটের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের মুক্তিযুদ্ধের গল্প

কবির হাসান - চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ / ১৩৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল হকের মুক্তিযুদ্ধের গল্পটা বেশ বেদনাবিধুর। মোঃ নুরুল হকের বাড়ি উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের পোলাডাংগা গ্রামে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ভাষ্যমতে ২৫ শে মার্চ কালোরাতে যখন শুনতে পায় যে, যুবকদের ধরে নিয়ে গিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে মেরে ফেলছে তখন আমাদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হয় ঠিক তখন আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। রাত শেষে সকাল হলে আমার সাথে শাহজাহান, কোরবান, সাত্তার, সহ বেশ কয়েকজন মিলে আমরা নৌকা যোগে যুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের মালদহতে চলে যায়।

তৎকালীন এমপি খালেদের প্রত্যায়ন নিয়ে আমরা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় এবং অন্যানের সাথে মিলিত হয়ে ট্রেনিং শুরু করি। সকাল-বিকাল শুধু লেফট রাইট করি। অনেক সময় আমরা অনাহারে অধহারে দিন কাটে। তখন একদিন পরে বাচ্চু ডাক্তার আর মন্টু ডাক্তার ছুটে এলো। তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা চলে গেলাম নতুন গৌড় ক্যাম্পে। সেখানে দীর্ঘ একমাস মত প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩০৩ রাইফেল সহ এলএমজি ও মেশিনগান সহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ৩ নং সাব সেক্টরের অধীনে এবং ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি।

তারপর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলার ধোবড়া, কলাবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। বেশ কিছুদিন পরে আমরা ৮/১০ জন আবার ভোলাহাট উপজেলায় চলে আসি। এখানে এসে দলদলী ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় এবং গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর-কালুপুর এলাকায় যুদ্ধ করি।

একদিন রাতে আমরা বেশ কয়েকজন ভেজা কাপড়ে সারারাত কাটাতে হয়েছিল। যেটা ছিল সবথেকে কষ্টের রাত। একদিন একটা লাশের খোঁজ দিতে না পাড়ায় আমাদের নংগুরে খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল। এরকম হাজারো হৃদয়বিদারক ঘটনা আছে যুদ্ধকালীন সময়ে।

এই যুদ্ধে টাইগার পার্টিতে সানাউল্লাহ স্যারের সাথে দেখা হয়। পরে স্যারকে বললাম আমাকে আটলারিতে নিয়ে নেন। পরে আমাকে সহ কয়েকজনকে আটলারিতে নিয়ে নেন। যুদ্ধে বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমি আটলারিতেই ছিলাম।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর