শান্তিরক্ষা মিশনে গাম্বিয়ার সঙ্গে যৌথ সেনা মোতায়েনে সম্মত বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার যৌথভাবে সেনা মোতায়েনে গাম্বিয়ার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সফররত গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা এ বিষয়ে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী এতে নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
গাম্বিয়ার প্রস্তাবে নীতিগত সম্মত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অনুমোদন সাপেক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন তিনি।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে এবং কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে গাম্বিয়ার বিস্তীর্ণ জমিতে যৌথভাবে চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশি জনশক্তি ও প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং গবেষণার ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষিজমি হ্রাসের প্রবণতা সত্ত্বেও গবেষণা বাংলাদেশকে খাদ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করেছে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না- এই আহ্বানে জনগণ সাড়া দিয়েছে।
সরকার প্রধান মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য গাম্বিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরিং মোদুউ এনজিইস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।